মাদক ব্যবসায় ঝুঁকছে জনপ্রতিনিধি ও তাদের সন্তানরা
করোনাকালিন সময়ে অধিক মুনাফার আশায় মাদকের ব্যবসায় ঝুঁকছে শার্শা উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও তাদের সন্তানরা।
তাদের দুই একজন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে মাঝে মধ্যে ধরা পড়লেও, বড় বড় চালান সহ গডফাদাররা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
জনপ্রতিনিধি ও তাদের সন্তানরা মাদক পাচারের সাথে জড়িয়ে পড়ায় শঙ্কায় আছে এ উপজেলার আপামরজনসাধারণ। তারা বলছে, যারা সমাজকে ঘূণে ধরার হাত থেকে রক্ষা করবে, তারাই যদি এ পেশায় জড়িয়ে পড়ে, তাহলে জাতিকে উদ্ধার করবে কারা?
আজ মঙ্গলবার বিকালে শার্শা থানার এএসআই আকবর হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার সাতমাইল গরুর হাটের সামনের সাতক্ষীরা টু নাভারন মহাসড়কের পাশে মুর্তির মোড়ের সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে শার্শা থানার সামটা গ্রামের জিয়া মেম্বারের ভাইপো সাগর হোসেন (২০) ও একই এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৬) কে ২৩ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও একটি মটর সাইকেল সহ গ্রেফতার করে। উক্ত বিষয়ে শার্শা থানায় মাদক মামলা রুজু হয়েছে বলে জানায় শার্শা থানার ওসি বদরুল আলম খান।
এর আগে, বেনাপোল পুটখালী সীমান্ত থেকে ৪ মে ফেনসিডিল ও একটি পালসার মোটরসাইকেল সহ মোমিনুর রহমান (৩৬) নামে এক ইউপি সদস্যকে আটক করে বিজিবি। সে বেশ কয়বার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হলেও, জামিনে বের হয়ে এসে আবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে বলে জনশ্রুতি আছে।
২১ মে সন্ধ্যায় উপজেলার মাকলা চৌরাস্তা এলাকা থেকে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুলের ছেলে আশরাফুল আলম অপুকে (২৬) বিদেশি মদসহ আটক করে পুলিশ।
দিনদিন জনপ্রতিনিধিদের মাদক কারবারের সাথে জড়িত হওয়ায় সচেতনমহল ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশাসনকে কঠোর হস্তে দমন করার আহবান জানান।