জেলার খবর

আপনার লেখায় কিছু যায় আসে না

বিকাশ চন্দ্র বগুড়া প্রতিনিধিঃ

আপনার লেখায় কিছু যায় আসে না

বগুড়ার সোনাতলায় কলাবাগানে ছিটানো সার ও কিটনাশক খেয়ে ৫টি পরিবারের ৩০টি হাঁসের মৃত‍্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের মহিষাবাড়ী গ্রামে।

এঘটনায় গত ২৩ মে রবিবার ক্ষতিগ্রস্ত হাঁস মালিক শাহ আলমের স্ত্রী শিউলি বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, একই এলাকার নজরুল ইসলাম মন্ডল ছেলে শাহ আলম মাস্টার বাদী শিউলি বেগমের বাড়ির সংলগ্ন তার ফসলি জমিতে কলা চাষ করেন।

পোকামাকদের হাত থেকে ফসল (কলাগাছ) বাঁচানোর চেষ্টায় কৃষক শাহ আলম মাস্টার কীটনাশক) ব্যবহার করেন। সেই কলা বাগানে ছিটানো সার ও কিটনাশক খেয়ে ৫টি পরিবারের ৩০টি হাঁসের মৃত‍্যু হয়। ক্ষতিগ্রস্থ মালিকেরা হলেন একই এলাকার শাহ আলমের স্ত্রী শিউলি বেগমের ৯টি হাঁস, সাজু প্রামানিকের স্ত্রী গোলাপি বেগমের ৮টি হাঁস, মৃত নুরুল হক তালুকদারের ছেলে মান্নান তালুকদার ৬টি হাঁস, মৃত মোবারক প্রামানিকের ছেলে হায়দার প্রামানিক ৫টি হাস, মৃত মাছুদুল রশিদের ছেলে ছয়ফুল ইসলামের ২টি হাঁস।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, তাদের প্রায় ২০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হাঁস মালিকেরা বিবাদী শাহ আলম তাদের হাঁস মেরে ফেলার কারণ জানতে চাইলে বিবাদী শাহ আলম মাস্টার ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং বলে এ বিষয়টি নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করলে তাদের আরো বড় ধরনের ক্ষতি করবে এবং বিভিন্ন রকম ভয়ভিতি সহ জীবন নাশের হুমকি দেয়।

এবিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের সহিত পরামর্শ করলে তারা আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন।
ক্ষতিগ্রস্থরা সাংবাদিকদের জানান, জমি মালিক তার জমিতে পোকামাকড়ের হাত থেকে ফসল (কলাগাছ) বাঁচানোর চেষ্টায় কীটনাশক ব্যবহার করেছে কিন্তু আমাদেরকে অবগত করলে আমরা সাবধান হতাম তবে আমাদের এতবড় ক্ষতি হত না। এদের মধ‍্যে গোলাপি বেগম বলেন, এর আগেও শাহ আলম মাষ্টার ওই জমিতে বিষ প্রয়োগ করে তাদের অনেক হাঁস মুরগীর মৃত‍্যু হয়েছে।

বলতে গেলে তারা বলেন, তাদের ফসল ঠিক রাখতে যা প্রয়োজন তাই প্রয়োগ করবে তাতে কার ক্ষতি হলো দেখার বিষয় নাই। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলম মাস্টার এর কাছে কলাবাগানে কীটনাশক প্রয়োগের কথা জানতে জানতে চাইলে স্বীকার করে বলেন শুকনা জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেছি। তাতে হাঁস মরার যুক্তি আসেনা।

এবং তিনি রাগান্বিত ভাবে সাংবাদিকদের বলেন কলা চাষ করতে হলে যা কিছু প্রয়োগ করা দরকার তাই করেছি এতে কার হাঁস মরলো তাতে আমার কিছু যায় আসেনা আপনারা কি লিখবেন লেখেন, আমরা মামলা ফেস করতে জানি।এ বিষয়ে থানার এএসআই শিহাব জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছি। এ বিষয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো নির্দেশ অনুযায়ী ব‍্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button