আজ সাবেক স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলী’র ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী।
এ কে আজাদ, পাইকগাছা প্রতিনিধি-ঃ (খুলনা)
আজ সাবেক স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলী’র ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী।
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিত্ব, বাব বার নির্বাচিত সাংসদ, সাবেক অধ্যক্ষ, রাষ্ট্রদূত স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলীর আজ ৭ জুন ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী।
তিনি খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার হিতামপুর গ্রামে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ২৮ আগস্ট এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গত ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে ৭ জুন দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।
জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, শিক্ষানুরাগী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক শেখ রাজ্জাক আলী বৃহত্তর খুলনা জেলায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বহু মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাসহ নানাবিধ সমাজসেবা ও উন্নয়নমূলক কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন। বর্তমান বিশ্বে মহামারী করোনা সংক্রমণে বিধ্বস্ত। বাংলাদেশও আক্রান্ত হয়ে এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
এমতাবস্থায় ‘শেখ রাজ্জাক স্মৃতি পরিষদ’-এর পক্ষে সাধারণ সম্পাদক বেগম মাজেদ আলী এক বিবৃতি এ দুর্যোগময় কালে এ বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্বের মৃত্যুবার্ষিকী কোনো প্রকার আড়ম্বরপূর্ণভাবে না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন এবং সাথে সাথে দেশবাসীর নিকট প্রয়াতের আত্মার মাগফেরাত ও দোয়া কামনা করেছেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনের অধিকারী শেখ রাজ্জাক আলীর জন্ম ১৯২৮ সালের ২৮ আগস্ট খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হিতামপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে।
শেখ রাজ্জাক আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে (১৯৫২) ও বাংলা সাহিত্যে (১৯৫৪) মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করার পর এলএলবি সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় সক্রিয়ভাবে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। ১৯৫৮ সালে খুলনা জেলা জজ কোর্টে ওকালতি শুরু করেন। ১৯৬৩ সালে হাইকোর্টে বারের সদস্য হন ও ১৯৬৪ সালে খুলনা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি খুলনা ল’ কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেন।
এরপর দীর্ঘ ২৫ বছর কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।
শেখ রাজ্জাক আলী ১৯৭৯ সালে খুলনা-৫ আসন থেকে এবং ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে খুলনা-২ আসন থেকে বিএনপি দলীয় সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে আইন ও বিচার বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তিনি। সে বছরই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন।
একই বছর ১২ অক্টোবর স্পিকারের দায়িত্ব পান তিনি। ১৯৯৬ সালেও স্পিকার হন তিনি। এর আগে ১৯৯২ সালে তিনি বিএনপির প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
১৯৯২ সালে রাজ্জাক আলী শ্রীলঙ্কার কলোম্বতে প্রথম সার্ক স্পিকারস সম্মেলনে যোগদান করেন ও সার্ক স্পিকারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর তাঁর সভাপতিত্বেই সংসদের স্বল্প সময়ের অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০০২ সালে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন তিনি।
শেখ রাজ্জাক আলী ২০০৬ সালে বিএনপি ছেড়ে এলডিপিতে সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে যোগ দেন। সে বছরই তিনি নিজেকে রাজনীতি থেকে গুটিয়ে নেন।