জেলার খবর

বগুড়ায় মাড়াই ধানের আঁটি বিক্রির টাকা চাওয়ায় কাচি দিয়ে গলায় আঘাত

বিকাশ চন্দ্র, বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ায় মাড়াই ধানের আঁটি বিক্রির টাকা চাওয়ায় কাচি দিয়ে গলায় আঘাত

বগুড়ার সোনাতলায় ধান মাড়াই এর আঁটি বিক্রির টাকা চাওয়ায় কাচি দিয়ে গলায় আঘাত করে মিশু নামে এক যুবককে আহত করেছে। আহত মিশু সোনাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ৯ মে রবিবার সকাল ৯-৩০টায় ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের কুশারঘোপ গ্রামে। আহত ওই যুবক কুশারঘোপ গ্রামের এমদাদুল হক ভিক্ষুর ভাগিনা মিশু ইসলাম।

এ ঘটনায় তরিকুল মিশুকে মারার পর বাচার জন্য তার নিজ শয়ন ঘরে লুকিয়ে থাকে, এলাকাবাসী টের পেয়ে ওই বাড়িটিকে ঘিরে ফেলে। খবর পেয়ে সোনাতলা থানা পুলিশ তরিকুলকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে ।স্থানীয় ও আহতসুত্রে জানাযায়, ৭ মে শুক্রবার মৃত মুসতজ্জামান এর ছেলে এমদাদুল হক একই এলাকার আশরাফুল ইসলামের ছেলে তরিকুলের কাছে ১০ কাটা জমির ধান (কারি) চুক্তিতে ১১শ টাকায় বিক্রি করে।

সেই ধান মারাই করার পর তরিকুল ওই কারি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরের দিন সকালে এমদাদুলের বাড়িতে এসে কারি কম হয়েছে বলে গালমন্দ বলে। বাড়ির লোকজন তাকে বলে এখানে কারি কম হওয়ার কোনে সুযোগ নেই। আমরাতো কারি হিসাব করে বিক্রি করিনাই, চুক্তিতে বিক্রি করেছি আগে কারির টাকা দেন। সেখানে ওই তরিকুল হুমকী প্রদর্শন করে চলে আসেন।

৯ মে রবিবার সকালে মামা এমদাদুল হক ভিক্ষু ও ভাগ্নে মিশু অন্যের বাড়িতে ধান মারাইয়ের কাজে যাওয়ার সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তরিকুল এমদাদুলকে বলে তুই নাকি আমাকে গালা-গালি পারছু। তুই কোনো টাকাই আমার কাছ থেকে পাবিনা, এই বলে এমদাদুলকে মারপিট শুরু করে। পাশে থাকা ভাগিনা মিশু মামাকে বাচাতে এগিয়ে এলে তরিকুলের কাছে থাকা কাচির দিয়ে মিশুর গলায় ফ্যাস দেয়। এতে মিশু গুরুত্বর আহত হয় স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোনাতলা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এ বিষয়ে তরিকুলের বড় ভাই ভুট্র জানান, আমার ছোট ভাই অপরাধ করেছে তার শাস্তি পাক এটা আমি চাই।

কিন্তু সেখানে এলাকাবাসী তরিকুলকে অবরুদ্ধ করেছে এটা দুঃখজনক।এ বিষয়ে সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন এখনো কোনো অভিযোগ দেইনি। তবে অবরুদ্ধ তরিকুলকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button