দোয়ারাবাজারে নেশা খাইয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, আটক ৩
দোয়ারাবাজারে ইফতারির সাথে নেশার ওষুধ খাইয়ে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত-রাতে উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বোগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষক রিপন মিয়াসহ আরও দুইজনকে আটক করেছে পূলিশ।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধয়ায় উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের কাঠালবাড়ি গ্রামের সুরুজ মিয়ার পুত্র রিপন মিয়া একই ইউনিয়নের বোগলা গ্রামের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ফুফাতো ভাই ফয়সাল (১২) এর মাধ্যমে বাংলাবাজার ইউনিয়নের উরুরগাঁও গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের পুত্র জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে নেশার ওষুধ কিনে ওই মেয়ের বাড়িতে ইফতারি পাঠায়।
নেশা মেশানো ইফতারি খাওয়ার পর মেয়ে এবং দাদা অজ্ঞান হয়ে গেলে মধ্যরাতে এসে রিপন তাকে ধর্ষণ করে। ভোররাতে ঘুম ভাঙলে সুর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা আসলে সব খুলে বলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষক রিপনসহ তার ফুফাতো ভাই এবং নেশা বিক্রেতা জসিম উদ্দিনকে আটক করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের আলামাত জামাকাপড়সহ ইফতার সামগ্রী একটি ছুড়ি উদ্ধার করে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, দশম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর মা বাবা কেউ বেচেঁ নেই। এতিম এই মেয়েটির একমাত্র বৃদ্ধ দাদার আশ্রয়ে থাকেন। বাড়িতে তার বৃদ্ধ দাদা ব্যতিত পরিবারে আর কেউ নেই। এই সুযোগে ধর্ষক রিপন তার এক ফুফাতো ভাই এর মাধ্যমে ইফতারির খাবারের সাথে নেশা মিশিয়ে অজ্ঞান করে মধ্যরাতে ধর্ষণ করে।
স্থানীয়রা বলেন, ধর্ষক রিপন এলাকার চিহ্নিত এক অপকর্মকারী। তার বিরুদ্ধে চুরি, চোরাকারবারিসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। এসব অপকর্মের কারণে কিছুদিন পরপর সে জেল খেটে ফের এলাকায় ফিরে সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্ষকসহ আরও দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নেশা বিক্রেতা জসিম দীর্ঘদিন ধরে অজ্ঞান পার্টির সাথে জড়িত। সে অজ্ঞান পার্টির বড়ো ধরণের হোতা। এলাকায় শিশুদের দিয়ে নেশার ওষুধ বিক্রি করে এবং চোরাকারবারের সাথে জড়িত রয়েছে।
জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি মোহাম্মদ নাজির আলম বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধর্ষককে ধৃত করা হয়েছে। তার সহযোগী এবং নেশা বিক্রেতাকেও আটক করা হয়েছে। রিপনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।