বগুড়ার সোনাতলায় শেষ মুহুত্বে জমজমাট ঈদের মার্কেটঃ উপচে পরা ভীড় দোকানে
বিকাশ চন্দ্র, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার সোনাতলায় শেষ মুহুত্বে জমজমাট ঈদের মার্কেটঃ উপচে পরা ভীড় দোকানে
বগুড়ার সোনাতলায় সকল ধরনের দোকানে শেষ মুহুত্বে পণ্য কেনাকাটার জন্য হুমরি খেয়ে পড়ছে ক্রেতারাযদিও ঈদের আর বাঁকি ৯ দিন পঞ্জিকা মতে সম্ভবত (১৩) তারিখ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে তেরীকরা পোষাক,শাড়ী,কসমেটিক,মুদিদোকানে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা। তবে ভীড় ছিল না স্বর্নের দোকানে৷ এবার ঈদ উপলক্ষে যারা কেনাকাটা করতে আসছেন তাদের অধিকাংশই নারী ক্রেতা। অনেক ক্রেতা বা বিক্রেতার মুখেই ছিলো না মাস্ক।
বারবার সরকারের পক্ষ হতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বললেও সেটি এই ঈদে কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতা বিক্রেতার বেলায় পরিলক্ষিত হয়নি ।চলতি বছরের মার্চের মাঝামাঝি করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমে গত ৫ এপ্রিল সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলে পর্যায় ক্রমে সেটি ১৬ মে পর্যন্ত বহাল রাখে সরকার।
তবে সাধারণ মানুষের জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ২৫ এপ্রিল থেকে সকল ধরনের দোকানপাট খোলা রাখার সুযোগ করে দেয়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টায় খোলার পর রাত ৮টার মধ্যে তা বন্ধের শর্তও বেধে দেওয়া হয়।
৪মে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় শহরের তিনমাথা মোড়ের মার্কেটগুলি সহ আশপাশের বিভিন্ন পণ্যের দোকান ও বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সব ধরনের দোকানে মাত্রাতিরক্ত ভীড়ে ক্রেতারা হুমরী খেয়ে পড়ছে পণ্য কেনার জন্য।
সোনাতলা তিনমাথা মোড়ে মার্কেটের অঙ্গসাজ কসমেটিক ব্যবসায়ী সৌরভ কুমার প্রসাদ বলেন, গত বছরে ঈদ মার্কেটে বেচাকেনা ভাল থাকলেও এবার ঈদ মার্কেটে সে রকম বেচাকেনা নেই।
আশিক টেইলার্স এর মালিক ওয়াসিম হোসেন বলেন, গত বছরের ঈদ মার্কেটের চেয়ে এবার ঈদ মার্কেটে পোশাক তৈরি করার অর্ডার এর পরিমানটা অনেক বেশি। তিনি আরো জানান তার সহ প্রতিটি টেইলার্সে ব্যবসা এবার ভাল। অপরদিকে কোন রকম ভীড় চোঁখে পরেনি সকল স্বর্নের দোকান গুলিতে। নিরবভাবে অলস সময় পার করছে স্বর্ন ব্যবসীরা। বিথি জুয়েলার্সের মালিক শ্রী লিটন চন্দ্র প্রামানিক বলেন,গত লক ডাউনের পর হতে এ পর্যন্ত ঠিকমত ক্রেতাই আসেনা। তিনি আরো বলেন একদিকে মহামারী করোনা অন্যদিকে দেশীয় বাজারে স্বর্নের দাম চড়া।
সে কারনে সাধারন মানুষ স্বর্নের পরিবর্তে কালার এনটিক কম দামে কিনে পড়ছে গাঁয়ে কাপঁড় ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন,পরিবহন বন্ধ থাকার কারনে বিভিন্ন ধরনের কাপর মোকাম থেকে আনতে খরচ অনেক বেশী লাগছে। তবে হঠাৎ করেই শেষ মুহুত্বে বেচাকেনা টা একটু বেশী হচ্ছে ক্রেতারও ভীড় লক্ষ করা যাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এহিয়া কামাল বলেন,স্বাস্থ্যবিধির দিকগুলি না মানলে সংক্রমনের সংখ্যা বাড়তে পারে।
তিনি সবাইকে মুখে মাস্ক সহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিলেন। সোনাতলা কেন্দ্রিয় দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ জাহঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু বলেন, ইতিপুর্বে মার্কেটের দোকানগুলিতে সামাজিক দুরত্বের গোল দাগ সহ পানীর টাংকী স্থাপন করে সাবান রাখা হয়েছিল। এবারও সকল ধরনের প্রস্ততি সম্পর্ন করা হয়েছে ঈদকে সামনে রেখে।