জেলার খবর

বগুড়ায় পুকুর খননের নামে চলছে মাটি বিক্রির রমরমা ব্যবসাঃপ্রমান পাওয়া গেলে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা ইউএনও

বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ায় পুকুর খননের নামে চলছে মাটি বিক্রির রমরমা ব্যবসাঃপ্রমান পাওয়া গেলে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা ইউএনও

বগুড়ার সোনাতলায় পুকুর খনন করে অবাধে চলছে মাটি বিক্রয়ের রমরমা ব্যবসা। সেইসাথে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে অসাধু ভুমি দস্যুরা প্রকাশ্যে অবৈধ ভেকু ব্যবহার করে তাদের সুবিধা হাসিল করেই চলেছে। এতেকরে এলাকার লোকজন নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

জানাযায়, উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের মধ্য দিঘল কান্দি গ্রামের আবুল মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম রাঙ্গা অবৈধ ভেকু ব্যবহারের মাধ্যমে পুকুর খনন করে গাবতলী উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি এলাকার একটি ইটভাটায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মাটি বিক্রয় করেছে।

এরপর চুক্তি অনুযায়ী সেই ভাটার মালিক প্রায় ৮/১০টি ট্রাক ও কাকরা ব্যবহার করে মাটিগুলো নিয়ে যাচ্ছে। এতেকরে এলাকার রাস্তা ও দু-পাশ দিয়ে থাকা ছোট-বড় বহু বসতবাড়ি হুমকির মুখে পরেছে। সেইসাথে ট্রাক ও কাঁকড়া চলাচলের ফলে যেকোন সময় এলাকায় ঘটতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা।

এসকল হুমকীর হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকার লোকজন বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানায়। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাবেরী জালাল গত ২০’শে এপ্রিল মঙ্গলবার ভ্রাম্যমান আদালত নিয়ে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে উক্ত মাটি কাটার কাজ বন্ধ করেন এবং ভেকুর চাবি জব্দ করেন।

এদিকে ২৮’শে এপ্রিল বুধবার স্বরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, উল্লেখিত স্থানে আবারো সেই কাজ চলমান রয়েছে। ঐ সকল ব্যবসায়ীরা বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যে আবারো অবৈধ ভেকু ব্যবহার করে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।এবিষয়ে জমির মালিকের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রশাসন কর্তৃক উক্ত কাজ বন্ধ করা হলে পুকুর খনন করে পার বাধার জন্য একটি দরখাস্ত দেই।

এতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)আমাকে অনুমতি দিয়েছেন।এদিকে মাটি বিক্রয় ও রাস্তা দিয়ে অনর্গল ট্রাক চলাচলে এলাকার লোকজনের ভোগান্তি লক্ষ করে ইউএনও অথবা ভূমী অফিস কর্তৃক মাটি বিক্রয়ের কোন অনুমতি দেয়া হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এরিয়ে যান এবং বলেন ভাটার কর্মচারি রব্বানী এ সকল বিষয় ম্যানেজ করবে।

এবিষয়ে মাটি ক্রেতা গাবতলী উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি এলাকার ভাটার কর্মচারি মোঃ রব্বানী’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রথমদিকে স্থানীয় প্রশাসন বাধা প্রদান করায় তখন কাজ বন্ধ ছিলো। পরবর্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উক্তস্থানে মাটি কাটার অনুমতি দিয়েছেন। তবে অনুমতির কোন লিখিত কাগজ রয়েছে কিনা এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদ-উত্তর দিতে পারেননি।

একপর্যায়ে দাপটের সাথে বলেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই কাজ করছি।এসময় এলাকার স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে অনেকেই জানান, উল্লেখিত স্থান থেকে মাটি খনন করে তা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গাবতলী উপজেলার একটি ইটভাটায় বিক্রি করা হয়েছে। আর মাটিগুলো নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহৃত পরিবহন কাকরা ও ট্রাক চলাচলের কারনে পাকা রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং এতেকরে বিভিন্ন ভাবে নানা ভোগান্তির স্বিকার হচ্ছেন বলেও জানান তারা। সেইসাথে সার্বিক বিষয় লক্ষ করে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন এলাকাবাসি।

এদিকে বিষয়টি জানাতে (বৃহস্পতিবার)উপজেলা সহকারি (ভূমি) কর্মকর্তাকে ফোন করলে ফোন রিসিভ করেননি। অপরদিকে থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)কে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানালে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান,পুকুর সংস্কারের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে তবে মাটি বিক্রি করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদি মাটি বিক্রি করে তার বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button