বাঁশখালীর গন্ডামারায় ধানকাটা নিয়ে ফের গুলিবিদ্ধ- ৪
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালীর গন্ডামারায় ধানকাটা নিয়ে ফের গুলিবিদ্ধ- ৪
চট্টগ্রামজেলার বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নে ৭ শ্রমিকের রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতেই জমি নিয়ে পুর্ব বিরোধের জেরে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আবারো ৪ জন।
২৪ এপ্রিল’২১ ইং, শনিবার সকাল পৌনে ৯ টার সময় উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের ২ নং ওযার্ডের সাবেক ইউপিএম কামাল উদ্দিনের জমির ধান কাটার জন্য শ্রমিকরা জমিতে গেলে ধানকাটা নিয়ে দুই গ্রূপের সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
আহত ৪ জনকে সকাল ১০টায় বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় মৃত ইসহাকের ছেলে মো. আবু সালেক (৩০) এবং মৃত নুর আহমদের ছেলে শাহ আলমকে(৬০) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতরা হচ্ছে মৃত ওলা মিয়ার ছেলে মো. হোসাইন মাঝি (৫৫) এবং মৃত আমির হামজার ছেলে মো. মোজাহের(৬০)।
বাঁশখালীর আলোচিত গন্ডামারায় এবার ধানকাটা নিয়ে দুই গ্রুপে সংঘর্ষে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত ৪ জনকে সকাল ১০টায় বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় মৃত ইসহাকের ছেলে মো. আবু সালেক (৩০) এবং মৃত নুর আহমদের ছেলে শাহ আলম(৬০) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতরা হচ্ছে মৃত আমির হামজার ছেলে মো. মোজাহের(৬০) ও মৃত ওলা মিয়ার পুত্র মোহা: হোছাইন মাঝি(৫৫)।
মো. হোসাইন মাঝিকে পুলিশ পাহারায় বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি ঘটনার পর পর জীবন বাঁচাতে ৯৯৯ এ ফোন দিয়েছিল। ওই ফোন পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছে। গোলাগুলির ঘটনাকে দুই গ্রূপই একে অপরকে দোষারোপ করছে। বিরোধীয় ধানক্ষেতও উভয়পক্ষ নিজেদের বলে দাবী করছে। ওই ঘটনায় অন্ততঃ ৭ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মো. হোসাইন মাঝি ও সাবেক ইউপি সদস্য মৌলভী কামাল উদ্দিনের মধ্যে ৪০ শতক জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধীয় জমিতে গতকাল কামাল গ্রুপ লোকজন দিয়ে পাকা ধান কাটা শুরু করে। এই নিয়ে হোসাইন মাঝি গ্রুপ ও কামাল গ্রুপ গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। ধানক্ষেত উভয়পক্ষই উভয়ের দাবি করে বাগবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। গোলাগুলির ঘটনাও উভয়ে একে অপরকে দোষারোপ করছে।
তবে গুলিবিদ্ধ হোসাইন মাঝি ছাড়া অন্য ৩ জন আহতরা কামাল গ্রুপের। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা হোসাইন মাঝির বাড়ি ঘেরাও করে রাখলে তিনি জীবন বাঁচাতে এবং তাকে উদ্ধার করতে ৯৯৯ এ ফোন করেন। এই ফোন পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পুলিশ পাহারায় বাঁশখালী হাসপাতালে চিকিৎয়া দেয়া হচ্ছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিউল কবির বলেন, ‘ ঘটনার পর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ৯৯৯ এ ফোন পাওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঘটনা তদন্তের পর প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উল্লেখ্য এর আগে গত ১৭ এপ্রিল শনিবার সকালে উক্ত গন্ডামারা ইউনিয়নে এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টে শ্রমিকদের ১১ দফা দাবীর বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ৭ জন শ্রমিক নিহত হয় এবং ৩২ জন আহত হয়। এর ৬ দিন পর আবারো গোলাগুলির ঘটনায় এলাকায় বেশ উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।।