দোয়ারাবাজারে ৫০ বছরের ভোগদখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মোঃ আলা উদ্দিন, দোয়ারা উপজেলা প্রতিনিধি-(সুনামগঞ্জ)
দোয়ারাবাজারে ৫০ বছরের ভোগদখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
দোয়ারাবাজার উপজেলার চৌধুরীপাড়া বাজারে নিজস্ব ভোগদখলীয় জমি থেকে বড়বোনকে উচ্ছেদের পায়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বড় বোন ও বোন জামাই। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ১নং বাংলাবাজার ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়াস্থ নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আমিনা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে জানান, বাশতলা চৌধুরীপাড়া গ্রামে ১৯৭৪ সাল থেকে নিজেদের দখলীয় জেএল নং ১৭, বাশঁতলা মৌজাস্থিত খতিয়ান নং ১/১ এর দাগ নং ৯৪, পরিমাণ ০.৪২ শতক, আমন রকম ভুমি, দাগ নং ৯৭ পরিমাণ ১.৯৭ ও দাগ নং ৯৯ পরিমাণ ০.২১ শতক বাড়ী রকম ভুমিসহ মোট ২ একর ৬০ শতক ভুমির উপর বাড়ী তৈরী করে বিগত ৪৮ বছর ধরে ভোগাদিকার আছেন আমিনা খাতুন ও তার স্বামী এম এ ছাদেক।
বিগত সেটেলমেন্ট জরিপে সরকারী খতিয়ান ভুক্ত রেকর্ড হলেও দখলকার হিসেবে আমিনা খাতুন গংদের নাম অর্ন্তভুক্তি করা হয়েছে। বর্তমানে জায়গাটিতে বাজার গড়ে উঠায় আমিনা খাতুনের সৎ ভাই জহিরুল ইসলাম জুলহাস গংরা জোরামুলে বোনকে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে। এ নিয়ে ১০ মার্চ উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আমিনা খাতুন দোয়ারাবাজার থানায় সৎ ভাই জহিরুল ইসলাম জুলহাসসহ ৪জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ কোন প্রতিকার নিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ন্যায় বিচার দাবী করেন। আমিনা খাতুন আরও জানান, বাড়ীটি বাজারে মধ্যে অবস্থান করায় বাড়ীর চারপাশে পর্দা হিসাবে টিনের বেড়া দেওয়া হয়েছিল তারা ভেংগে ফেলেছে এখন বাড়ীর মহিলারা ঘর থেকে বের হতেই সমস্যা হচ্ছে, তাদের হুমকির কারণে পর্দা দেওয়া যাচ্ছে না আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করি।
তিনি আরো বলেন দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে উক্ত জায়গার উপর ঘরবাড়ী তৈরী করে বসবাস করে আসছি। ইদানিং জায়গাটির উপর বাজার গড়ে উঠায় আমার ভাই ও বোনেরা জবর দস্তি করছে। উক্ত জায়গাটি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্যও আমি জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েছি। বন্দোবস্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে জহিরুল ইসলাম জুলহাস জানান, জায়গাটি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। আমার বাবা মারা যাওয়ার কয়েক মাস পূর্বে উক্ত জমিটা আমার বোন ও বোনজামাইকে দেয়া হয়েছিল তাদের থাকার জন্য। তাদের নামে কোন কাগজ করেও দেয়া হয় নাই। আমি তাদেরকে কোন ধরনের ডির্স্টাবও করছি না। আমার মা ও বোনরা তাদের অংশ পাওয়ার জন্য বোনের সাথে কথা বলছে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি মুহাম্মদ নাজির আলম জানান, আমিনা খাতুন নামে একটি অভিযোগ থানায় দিয়েছিল কিন্তু লকডাউনসহ সরকারী অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি নিয়ে এগুতে পারছি না। জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভাই-বোনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছে বলে খবর নিয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।