বাঁশখালীর ক্ষুধে মেধাবী সাদিল ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে দেশ ও জাতীর সেবা করতে চায়
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালীর ক্ষুধে মেধাবী সাদিল ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে দেশ ও জাতীর সেবা করতে চায়
“ মর্নিং চোজ দ্যা ডে”- সারাদিনটা কেমন যাবে তার অনেকটা সকালেই বুঝা যায়। মোনতাসির বিন মামুন (সাদিল), চট্টগ্রাম সরকারী মুসলিম হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেনীর তুখোড় মেধাবী ছাত্র। চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার ৯ নং গন্ডামারা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী জমিদার পরিবার ১ নং ওয়ার্ডের হায়দার আলী মাঝি বাড়ির মামুন খুরশিদ ও রোমন চেধৈুরী’র ৩ সন্তানের মধ্যে সবার বড় সাদিল সেই শৈশব থেকেই তার অসাধারন মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে শিক্ষা জিবনের সূচনালগ্ন থেকেই।
সাদিলের মেধা, কৃতিত্ব এবং অর্জন অন্য দশটা ছেলের ছেয়ে আলাদা বলতেই হয়। শান্ত-শিষ্ট নীরব চারিত্রিক প্রকৃতির সাদিল শৈশব থেকেই তার ভাবনার জগতটাই যেন আলাদা। পারিবারিক পরিমন্ডলের কোলাহল এড়িয়ে সারাক্ষন মগ্ন থাকত বই পড়ায়, ছবি আঁকায়। সে সাথে ছোট ছোট সুন্দর সমাজময় গ্রামের সমন্বয়ে একট সুন্দর স্বাধিন দেশের স্বপ্ন সাদিলকে যেন তাড়িয়ে বেড়াত সবসময়।
যে বয়সে শিশুরা বেপরোয়া কোলাহলে মেথে থাকে সে সময়টায় সাদিলকে দেখা গেছে দেশের স্বাধিনতা, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধিনতার স্থপতি বাংলার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এলোমেলো কলমের আঁচড়ে তার ক্ষিপ্র প্রতিভার বিচ্ছুরন। তার স্বিকৃতিও মিলেছে শিক্ষা জিবনের সূচনালগ্ন থেকেই।
২০০৮ সালে জন্ম সাদিল বাঁশখালী উপজেলা সদরের সর্বপ্রথম আধুনিক ও সৃজনশীল শিক্ষা প্রতিষ্টান গ্রাসরুট চাইল্ড কেয়ার কেজি স্কুলে প্রথম শ্রেনীতে পড়াকালীন চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর হাত থেকে পুরুস্কার গ্রহনের পর থেকে ২১ শে ফেব্রূয়ারী, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে বিভিন্ন সময় আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও বিষয়ভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতায় একের পর এক কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে পুরুস্কার অর্জন করেন। অবশেষে ২০২১ সালে মহান স্বাধিনতা দিবস উপলক্ষে “স্বপ্নের বাংলাদেশ” বিয়য়ে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখল করে দেশমাতৃকা নিয়ে তার অসাধারন মেধা ও ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে সবার নজর কাড়েন।
ভবিষ্যতে কি হবে তুমি? কি হতে চাও?—এমন প্রশ্নে সাদিলে’র স্বভাবজাত উত্তর ,-“ আমি ভবিষ্যতে মানবিক ডাক্তার হতে চাই, ডাক্তার হয়ে দেশ-মাটি ও মানুষের সেবা করার মাধ্যমে মানুষের সৃষ্টিকর্তার কাঁছে প্রিয় হতে চাই। বর্তমান সময়ের চিকিৎসকদের পেশাগত বানিজ্যিক মানষিকতাকে যেন প্রতিবাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জবাব দিলেন সাদিল।
সাদিলের মা রোমন চৌদূরীর একান্ত ইচ্ছে, তাঁর ছেলে ভবিষ্যতে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করবে ,এজন্য সাদিলের মা রোমন চৌধুরী ও বাবা মামুন খুরশিদ সবার কাঁছে তাদের ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
বাঁশখালী গন্ডামারার ঐতিহ্যবাহী হায়দর আলী মাঝি পরিবারের বিশিষ্ট শিক্ষাবিধ মরহুম মাওলানা এয়াকুব আলী চৌধুরী ও এয়ার আলী চৌদুরীর দৌহিত্র জাত প্রতিভাময় মোনতাসির বিন মামুন সাদিল পরিবার, শিক্ষক ও সমাজের হিতৈষী মানুষদের দোয়া ও নার্সিংয়ে ভবিষ্যতে অনেক বড় ডাক্তার হয়ে দেশের সম্পদে পরিনত হউক এ শুভ প্রত্যাশা করতেই পারে জাতী।