জেলার খবর

সেনবাগে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা,ঘাতক আলাউদ্দিনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি

মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

সেনবাগে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা,ঘাতক আলাউদ্দিনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি

সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের তেলি পুকুর পাড় এলাকার একটি খাল পাড়ের মাটিতে পোঁতা অবস্থায় মোঃ মিজানুর রহমান প্রকাশ আশ্রাফুল নামের (৬) বছরের এক শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার ঘটনার ৬ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডের তথ্য উদঘাটন করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ।

ওই হত্যাকান্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নিহত আশ্রাফুলের মা হাজরা খাতুনের সাবেক স্বামী ঘাতক মোঃ আলা উদ্দিনকে গ্রেফতারের পর থানায় জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করে।

এরপর মঙ্গলবার দুপুরে তাকে নোয়াখালীর আমলী আদালত ৪ এর বিচারক নবনিতা গুহের আদালতে হাজির করলে সে আশ্রাফুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশটি তেলি পুকুর পাড় এলাকায় খাল পাড়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখে বলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে।

আলা উদ্দিন কাদরা ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের জিতু সওদাগর বাড়ির মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আবুল কাশেম মীর বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে আসামী করে সেনবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-৪ তারিখ ৬/৪/২০২১ইং।

আশ্রাফুলের বাড়ি সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর-শ্রীপুর গ্রামে।সে ওই গ্রামের সেকান্তর মীর বাড়ির রাজমিস্ত্রী আবুল কাশেম মীরের ছেলে। আশ্রাফুল নানার বাড়ি কাদরা ইউনিয়নের নজরপুর জিতু সওদাগর বাড়ির নানা ছায়েদুল হকের ঘরে থেকে পড়ালেখা করতো।গত শুক্রবার ২ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আশ্রাফুল নানার বাড়ি থেকে তেলি পুকুর পাড় এলাকায় এসে নিখোঁজ হয়।পরবর্তীতে বহু খোঁজাখুঁজি করে এবং মাইকে প্রচারণা চালিয়েও তার কোন সন্ধান না পেয়ে রাতেই সেনবাগ থানায় নিখোঁজ ডায়রি করে।

এরপর সোমবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই এলাকার আবদুল হামিদ তার ইরি-বোরো ধান ক্ষেত দেখতে গিয়ে খালের পাড়ে মাটিতে পোঁতা অবস্থায় আশ্রাফুলের মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।পরে খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ৮টারদিকে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ-সার্কেল) মোঃ শাহ এমরান,সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এ সময় সেনবাগ থানার এসআই মোঃ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স শিশুর লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সকালে নোয়াখালী জেনালের হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)আবদুল বাতেন মৃধা শিশুর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জানান, শিশু আশ্রাফুলের মা হাজরা খাতুনের সাবেক স্বামী মোঃ আলোউদ্দিনের সঙ্গে বিরোধের জেরে সে শিশুটিকে একা পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশটি ওই স্থানে পুঁতে রাখে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button