ময়মনসিংহে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকের হাত-পা গুড়িয়ে দিয়েছে
মোঃ আজাহার সরকার, জেলা প্রতিনিধি-(গাজীপুর)
ময়মনসিংহে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকের হাত-পা গুড়িয়ে দিয়েছে
সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ময়মনসিংহ সদরের রাঘবপুর গ্রামের একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক মাইনদ্দীনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাতœক আহত করেছে।
সন্ত্রাসীদের মদদ পুষ্ট এলাকার কতিথ পুলিশের সোর্স খোকন সন্ত্রাসী হামলায় অংশ গ্রহন করে বলে প্রত্যক্ষদশীরা জানিয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে নেতৃৃত্বদানকারী শাহিন এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করে বলে জানা যায়। এ ছাড়াও শাহীন এলাকা চুরি হলে মালামাল ফেরৎ এনে দেন। সম্প্রতি মসজিদ থেকে চুরি হওয়া দুটি পানির মটর ফিরিয়ে এনে দিয়েছেন।
শাহিনের এলাকায় নিজস্ব বাহিনী রয়েছে। যা কিশোর গ্রুপ নামে পরিচিত। এলাকায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলবে বা স্বাক্ষ দিবে এমন সাহস কারো নেই। অভিযোগ রয়েছে শাহিনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সেটি আর এফআইআর হয়না। কারন হচ্ছে তার দলে কতিথ পুলিশের সোর্স খোকন রয়েছে। অভিযোগ দায়েরকারিরা মামলা করতে নাপেরে জায়নামাজে বসে অদৃশ্য আল্লহর দরবারে বিচার প্রার্থী হন।
কোতোয়ালী মডেল থানায় জমা দেয়া মাইনদ্দীনের অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৪ই মার্চ/২০২১ ‘নিজের চর্কায় তেল দাও’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর সংবাদ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাকে বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। গত ১৮মার্চ মাইনদ্দীন পত্রিকার অফিস সাহেব কাঁচারী বাজারস্থ কার্যালয় বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে সঙ্গীয় সুলতান ও বায়তুলকে নিয়ে রওয়ানা দেন।
এসময় শাহীন এর নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় মারতœক অস্্র নিয়ে রাত ১১টায় এলাকায় আতংকের সৃষ্টি করে। মাইনদ্দীন তার বাড়ির সামনে নজরুলের দোকানের পাশে পৌঁছা মাত্রই শাহিন তার বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গতি রোধ করে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তার ডাকে পাশের জঙ্গলে পালিয়ে থাকা অপরাপর সন্ত্রাসীরা এসে হাজির হয়। মুহুর্তের মধ্যেই উপস্থিত হয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
মাইনদ্দীনকে বেধরক পিটাতে ও কুপাতে থাকে। এতে তার ডান হাত ও ডান পায়ে মারাত্মক হাড় কাটা জখম হয়। আরাফাত তখন মাইনদ্দীনের হাতে থাকা সনি ক্যামেরা ছিনাইয়া নেয়। মাইনদ্দীনের পকেটে থাকা টাকা ও দরকারী কাগজ শাহাদত ছিনাইয়া নেয়।
এসময় সন্ত্রাসীরা মাইনদ্দীনের সাথে থাকা দু’জনকে পিটিয়ে আহত করে। আহত অবস্থায় মাইনদ্দীনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে সে বর্তমানে ৯ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে। স্থানীয়রা তৎসময়ে ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।