চাটখিলে মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও হত্যা হুমকির ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় সাংবাদিক পরিবার
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
চাটখিলে মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও হত্যা হুমকির ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় সাংবাদিক পরিবার
জমি সংন্ত্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাটখিল উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের বেচু পাটোয়ারী বাড়ির প্রবাসী‘ সাংবাদিক মনির হোসেনের স্ত্রী ও সন্তানদের একই বাড়ির সন্ত্রাসী ও ভূমিগ্রাসী আবুল বাশারের নির্দেশনায় আবু তাহের ও নাহিদুর রহমান বাবু, রেহানা আক্তার লাকি, সাবিনা ইয়াসমিন গং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাংবাদিকের স্ত্রী ও দুই কন্যা।
তাই এ ব্যাপারে তারা পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছেন।
এলাকাবাসী ও সাংবাদিক পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে সাংবাদিক মনির হোসেন একই বাড়ির আবুল বাশার গংদের কাছ থেকে লক্ষ্মণপুর মৌজার তাদের বসত বাড়ির উপর ৯৯ দাগে ২.২৫ শতাংশ ভূমি ভূমি ননজুডিশিয়াল স্টাম্পে বায়না ও একই মৌজার ৩২ নং হালে ১১৯ দাগে পৌনে সাত শতাংশ বসত ভূমি ক্রয় করেন।
বসত বাড়িতে ক্রয়কৃত উক্ত সম্পত্তির উপর মনির হোসেনের স্ত্রী ফেরদৌস সুলতানা গত ১৫ জানুযায়ি বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করতে গেলে আবু তাহের ও তার ছেলে নাহিদুর রহমান বাবু, রেহানা আক্তার লাকী সহ একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক মনিরের স্ত্রী ফেরদৌস সুলাতানা ও তার মেয়ে নিধিকে মারধর করে মারাত্মক আহত করে।
এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে বাঁচতে নিজেদের বসত ঘরে আশ্রয় নিলে সন্ত্রাসীরা সেখানেও প্রবেশ করে পুনরায় মারধর করে এবং ঘরের আসবাবপত্র ও দরজা-জানালা ব্যাপক ভাংচুর করে এবং তাদের হত্যা করারও হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ফেরদৌস সুলাতানা বাদি হয়ে নোয়াখালী ৭নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মনির হোসেনের স্ত্রী ফেরদৌস সুলাতানা অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন তিনি চাটখিল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। অথচ পরবর্তীতে চাটখিল থানা পুলিশ আসামীদের মিথ্যা মামলা গ্রহণ করে। বর্তমানে তারা মিথ্যা ও সাজানো মামলায় এবং হত্যা হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ ব্যাপারে চাটখিল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মনির হোসেনের স্ত্রী আদালতে মামলা করেছেন। পরে ওই ঘটনায় বিবাদী রেহানা বেগম লাকি বাদি হয়ে চাটখিল থানায় জিডি করেছেন। থানায় কেউ মামলা করেনি। জিডির আলোকে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে তাই এখন আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।