চট্টগ্রামের চারজন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটিতে
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন। এটি মূলত আওয়ামী লীগের ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ উপ কমিটি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক হাই কমিশনার ড. সাইদুর রহমান খানকে চেয়ারম্যান এবং আইন ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. সেলিম মাহমুদকে সদস্য সচিব করে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ কমিটি গঠিত হয়েছে।
এই উপ কমিটিতে সদস্য হিসেবে তথ্য মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষকসহ রয়েছেন চট্টগ্রামের মোট চারজন। এরা হলেন— সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক কমিশনার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেলালুদ্দীন নিজামী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসরিন আক্তার এবং দি চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ও রাষ্ট্রীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা টেকসই করার লক্ষ্যে দলকে তথ্য-উপাত্ত ও গবেষণা কর্মের মাধ্যমে সহায়তা করাই আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ কমিটির কাজ। এই উপ কমিটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ পূর্বক সেগুলো দলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে উপস্থাপন এবং দলের প্রয়োজনে সব প্রাসঙ্গিক বিষয়ে গবেষণা কর্ম পরিচালনা ও তার ফলাফল সময়ে সময়ে সর্বোচ্চ নেতৃত্বকে অবহিত করে থাকে।
এই উপ কমিটির সদস্যরা হলেন— অর্থনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. দীপু মনি, তথ্য মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআই’র ট্রাস্টি নসরুল হামিদ, সংসদ সদস্য জাকিয়া পারভিন খানম, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দীন, অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এসএম মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক কমিশনার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হেলালুদ্দীন নিজামী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো উপাচার্য ও ভূতত্ত্ববিদ ড. মাকসুদ কামাল।
সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, সমাজবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ ইসতিয়াক রেজা, নৌ পরিবহন বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুল আলম প্রধান, ড. প্রণব কুমার পান্ডে, ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. মো. শাহজাহান, ক্রিয়েটিভ ক্রাউডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশের রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, চিকিৎসক ডা. জাহানারা আরজু, অধ্যাপক ড. শবনম জাহান, সাংবাদিক কাজী হেমায়েত হোসেন।
সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শবনম আজিম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশক ও নির্বাহী পরিচালক তারিন হোসেন মঞ্জু, কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন, ব্যারিস্টার সৌমিত্র সর্দার, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক আসিফ, তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তা, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখ আদনান ফাহাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবিএম আশরাফুজ্জামান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসরিন আক্তার, অ্যাডভোকেট শওকত আলী পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট আরেফা পারভীন তাপসী, এ কে এম সাজ্জাদ হোসেন শাহীন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মিঠু।
সদস্য হিসেবে আরও রয়েছেন দি চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, আমেনা কোহিনুর, অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা, এস এম এনামুল হক আবীর, নাজমুল ইসলাম তুহিন, জিয়া উদ্দিন আহমেদ ভুইয়া, রাশিদুল বাশার ডলার, মোহাম্মাদ এমদাদুল হক, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, সাকিবুর রহমান শরিফ কনক, মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, গাজী আহানাফ সাকিব, ডা. হোসাইন ইমাম, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান হেভেন, সৈয়দ আবু তোহা, মাসুদ পথিক, আরিফ সোহেল, রায়হান কবির, রকিবুদ্দিন আহমেদ ঢালী, মাসুদ পারভেজ, হাসানুজ্জামান লিটন, সাংবাদিক মামুন অর রশিদ, লিপন মন্ডল, এস এম রেজাউল হাফিজ রেশিম প্রমুখ।
এছাড়া সারাদেশে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য বেশ কয়েকজন সাবেক ছাত্র ও যুব নেতাকে এই উপকমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সব ব্যক্তি তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণে এই উপকমিটি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডাটাবেস টিমকে সার্বিকভাবে সহায়তা করবেন। এই ক্যাটাগরিতে যাদেরকে সদস্য করা হয়েছে, তাদেরকে পর্যায়ক্রমে চিঠির মাধ্যমে জানানো হবে বলে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ জানিয়েছেন।