মানবিকতা! অতি ছোট্ট একটি ঘটনা,
কিন্তু অনেক বড় মানবিক অনুভূতি।
ঢাকার মুগদা হাসপাতাল গেইটের সামনে,
অসহায় মানবতার করুন এক দৃশ্য!! নীরবে ধর্ষিত হয়ে আহাজারী করছে মানবিকতা। সৃষ্টিকর্তা পর্দার আড়াল থেকে তাকিয়ে তাকিয়ে হয়তোবা মিটি মিটি হাসছিল তার সৃষ্টির সেরা মানুষের নিকৃষ্টতম মনুষ্যত্বের ঘৃনিত দৃস্টান্ত দেখে।
প্রখর রৌদ্রে গাইডার ওয়ালে ভেঙ্গে-ছুড়ে পড়ে থাকা পুষ্টিহীন ছেলেটি মুগদা হাসপাতালে এসেছিল করোনা টেস্ট করতে। সাথে কেউ নেই, এমনও হতে পারে যে, আসলেও হয়ত কেউ নেই তার এ পৃথিবীতে। ঢাকার ব্যস্ততম রাজপথের শতশত জনতা ঘাঁড় বাঁকা করে শুধু চেয়ে চেয়েই চলে যাচ্ছিল সবাই, একটি মানবিক মানুষও পাওয়া গেলনা যে, মৃতপ্রায় ছেলেটির পাশে গিয়ে একটু দেখবে যে, কি হয়েছে ছেলেটার? প্রখর রোদের মধ্যে একটি ছেলে বেহুশ হয়ে পড়ে থাকলেও করোনা আতঙ্কে কেউ তাকে উদ্ধারতো তো দূরের কথা, কাছেও কেউ যায়নি।
সাংবাদিক রুবেল রশিদ-!!!
তিনি একজন সাংবাদিক, একজন মানুষ এটাই তার প্রথম পরিচয়। কেঁদে উঠল তার মানবিক মন।
সাংবাদিক রুবেল রশিদের মন মানলো না। পেশার পাশাপাশি একজন মানবিক মানুষ হিসেবে এগিয়ে গেলেন। দেখলেন ছেলেটি জীবিত আছে। প্রয়োজনীয় শারিরীক দুরত্ব বজায় রেখে একটু পানি পান করাতেই সে সম্বিত ফিরে পায়। পরে তার মাথায় পানি ঢালেন তিনি।
পেশার বাইরে গিয়ে সাংবাদিক রুবেল রশিদ যেটা করেছে সেটা মানবিকতার একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ঘটনাটি অতি ছোট্ট হলেও, মানবিক অনুভুতির দৃষ্টিকোন থেকে বিশ্ব মানবতার জন্য অনেক বড় ঘটনাময় দৃষ্টান্ত নয় কি?
স্যালুট! ভাই সাংবাদিক রুবেল রশিদ।
আপনিই মানুষের যথার্থ বন্ধু!
আপনিই আমার প্রিয় বাংলাদেশ!!
মনে রাখবেন, একজন পেশাদার সাংবাদিক হতে পারে আপনার জিবনের সংকটময় সময়ে শেষ আশ্রয়।