কপিলমুনিতে একের পর এক দখল হচ্ছে সরকারী মুল্যবান জমি; ক্ষমতার উৎস নিয়ে প্রশ্ন?
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
কপিলমুনিতে একের পর এক দখল হচ্ছে সরকারী মুল্যবান জমি; ক্ষমতার উৎস নিয়ে প্রশ্ন?
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার বাণিজ্যিক উপশহর কপিলমুনি। আর এই কপিলমুনি বাজারের মুল্যবান সব জায়গা একের পর এক দখল করছে ভূমিদস্যুরা। তাদের এহেন অবৈধ দখলকে ঘিরে ক্ষমতার উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলে। বিষয়টি ভুমি সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে সোমবার দখলকৃত একাধিক মূল্যবান জায়গায় গিয়ে দেখাযায় কপিলমুনি সদরের পুরাতন লঞ্চঘাটের বাইপাস সড়কে যাতায়াতের পথ দখল করে পাকা ঘর নির্মান করছেন মোস্তাম মোড়ল নামের এক ব্যাক্তি। সরকারী সম্পত্তি দখল করে ঘর নির্মানের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, জায়গাটি আমি কিনেছি।
সরকারী অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এবং পাইকগাছা উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার কাওসার সাহেব এর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ঘর নির্মাণ করছি। আবেদন বা তার স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি জনৈক সৈয়দ সালাম উল্যাহ নামের ব্যক্তিকে মুঠোফোনে ধরিয়ে দেন। এ সময় সৈয়দ সালাম উল্লাহ নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। তাদের কাগজপত্র আমার কাছে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা সার্ভেয়ার কাওসার সাহেবকে জানিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সার্ভেয়ার কাওসার আলীর নিকট জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা বা আমাকে কেহ কিছু বলেনাই। আমি কপিলমুনি নায়েব সাহেবকে বলে দিচ্ছি তাদের ঘর নির্মান কাজ বন্ধ রাখতে। এরপর কপিলমুনি ভূমি অফিসে বিষয়টি অবহিত করলে সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তা হাসমত আলী সরেজমিন গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
তবে কাজ বন্ধের ঘন্টাখানেক পর প্রায় হাফডজন শ্রমিক নিয়ে ঐদিনই পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করে দখলবাজ মোস্তাম। খবর পেয়ে দ্বিতীয় দফায় তহশিলদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুনঃরায় কাজ বন্ধ করে দেন। তবে গভীর রাতে নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার পায়তারা করছে বলে একাধিক সুত্রে জানাগেছে।
তবে কি কারণে স্থানীয় ভূমি কর্তার নির্দেশ অমান্য করে বেপরোয়া হয়ে সরকারী জায়গায় পাকাঘর নির্মান করার সাহস কোথা থেকে পাচ্ছে এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর? এ বিষয়ে জানতে সদ্য যোগদানকারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।