হাওর রক্ষা বাঁধের কাজে ধীরগতি হতাশায় জেলা প্রশাসক, শংকায় কৃষককুল
আব্দুছ ছালাম শাকিল, জেলা প্রতিনিধি-(সুনামগঞ্জ)
হাওর রক্ষা বাঁধের কাজে ধীরগতি হতাশায় জেলা প্রশাসক, শংকায় কৃষককুল
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন যেভাবে হাওরের বোরো ফসল রক্ষাবাঁধের কাজ হচ্ছে এ নিয়ে আমি হতাশ। এ ভাবে ধীর গতিতে কাজ হলে অবস্থা ভয়াবহ হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণ যদি অবহেলা করেন, তাহলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আশংকা থেকেই যায়। আবহাওয়ার খবরে জানা গেছে এবার আগাম বন্যার আশঙ্কা রয়েছে তাই দ্রুত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে কাজ করার সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।
গত কাল দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
এসময় তিনি আরো বলেন গত বছরের তুলনায় বরাদ্ধ বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রী পরিষদ থেকে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট আলী আমজদ, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এডভোকেট শফিকুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল মোমেন, হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু সহ ১১ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা করমকরতা গণ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সবিবুর রহমান জানান মোট ৭৮৭পিআইসির জন্য সরকার বরাদ্ধ দিয়েছে ৬২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা। আমরা প্রথম কিস্তির বিল ইতিমধ্যেই পরিশোধ করেছি। বাধেঁর কাজ চলমান রয়েছে আশা করি ২৮ ফেব্রুয়ারির নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে