বাঁশখালীতে সাংবাদিকের উপর হামলা, সর্বত্র নিন্দার ঝড় ও গ্রেফতার দাবী।
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালীতে সাংবাদিকের উপর হামলা, সর্বত্র নিন্দার ঝড় ও গ্রেফতার দাবী।
ঘটনার তথ্য সংগ্রহের সূত্র ধরে সাংবাদিকের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘঠেছে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায়। বাঁশখালী প্রেসক্লাবের ক্রিড়া সম্পাদক ও দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি মুহাম্মদ মহিউদ্দিনের উপর এ হামলার ঘটনা ঘঠে। সাংবাদিক মহিউদ্দিনের উপর হামলার পরপরই সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে সর্বত্র নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে।
২ ফেব্রূয়ারী’২১ ইং মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পরপর উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে নিন্দনীয় ও ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা সংঘঠিত হয়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গন্ডামারা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের পৈত্যালারো বাড়ির নুরুল ইসলামের পূত্র রাকিব(২৭) সাথে একই ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা ৭ নং ওয়ার্ডের আজগর আলী সিকদার বাড়ীর দেলায়ার হোসেনের কণ্যা চট্টগ্রাম শহরে গার্মেন্টসে কর্মরত নয়ন মনির সাথে দির্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।
২ ফেব্রূয়ারী’২১ ইং প্রেমিক রাকিবের বিয়ের এ্যাংগেজমেন্টের সংবাদ পেয়ে প্রেমিকা স্বশরীরে প্রেমিক রাকিবের ঘরে হাজীর হলে এক নাটকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিক বাঁশখালী প্রেস ক্লাবের ক্রিড়া সম্পাদক ও দৈনিক মানবজমিন বাঁশখালী প্রতিনিধি মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ঘটনার তথ্য সংগ্রহের জন্য হাজীর হলে, তথ্য সংগ্রহের এক পর্যায়ে রাকিবের চাচাত ভাই জাকের(২৮) পিতা- মৃত আব্দুর রশিদ রাকিবের প্রেমিকা নয়ন মনিকে সাংবাদিক মহিউদ্দিন খবর দিয়ে এনেছে বলে মিথ্যা অজুহাতে তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সাংবাদিক মহিউদ্দিনের উপর চড়াও হয়ে তার পরনের ব্ল্যাজার টেনে হেঁছড়ে ছিড়ে ফেলে এবং এলোপাতাড়ী কিল-ঘুঁষি মারতে থাকে।
সেখান থেকে কৌশলে কোন রকমে সাংবাদিক মহিউদ্দিন নিজেকে বাঁচিয়ে ঘটনাটি দ্রূত বাঁশখালীর মিডিয়াঙ্গনের সহকর্মি সাংবাদিক ও থানায় ফোন করে জানানোর পরপর বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউল কবীরের নির্দেশে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের আইসি আরিফুল ইসলাম সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজীর হওয়ার আগে আগেই জাকের ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন এসআই আরিফুল ইসলাম।
সাংবাদিক মহিউদ্দিনকে চিকিৎসার জন্য দ্রূত বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাটানো হয়। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানায় হামলাকারী জাকেরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ করা হয়। সাংবাদিক মহিউদ্দিনের উপর হামলার ঘটনায় বাঁশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি উজ্বল বিশ্বাষ সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বাঁশখালী উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মোহা: আকতার হোসেন ও সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারীদের দ্রূত গ্রেফতারপুর্বক আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানিয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এসআই আরিফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সাংবাদিক মহিউদ্দিনের উপর হামলার ঘটনা শুনার সাথে সাথে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ স্যারের নির্দেশক্রমে দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হই। শুনেছি সাংবাদিক মহিউদ্দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে, আসামীকে গ্রেফতারের দাবীতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।