বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া মণিরামপুর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, আবারো মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান।
আবদুল্লাহ আল মামুন, মনিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি-(যশোর)
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া মণিরামপুর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, আবারো মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান।
যশোরের মণিরামপুর পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে। আইন-শৃংখলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শনিবার সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত এ পৌরসভার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান নৌকা প্রতীক নিয়ে-তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী শহীদ ইকবাল হোসেনকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বারের মত মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
বিছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নারী-পুরুষ ভোটারদের দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে ভোট প্রদানের মাধ্যমে মণিরামপুর পৌরসভা নির্বাচন শতস্ফুর্ত এবং শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয়েছে। বিশেষ করে নারী ভোটাদের দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা ছিল চোখে পড়ারমত। শনিবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কয়েকটি কেন্দ্রে প্রতিদ্ব›দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও আইনশৃংখলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপে সেগুলো বেশি দুর গড়াতে পারেনি। এছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান দ্বিতীয় বারের মত পৌর মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ২’শ ৭৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির শহীদ মোঃ ইকবাল হোসেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৬’শ ৭০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এছাড়া হাতপাখা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবু তালেব হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ৪’শ ৯ পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১নং-(হাকোবা)-ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আজিম, ২নং-(মহাদেবপুর-গাংড়া-জয়নগর)-ওয়ার্ডে সুমন কুমার দাস, ৩নং-(মণিরামপুর)-ওয়ার্ডে বাবুলাল চেীধুরী, ৪নং-(দূর্গাপুর-স্বরুপদাহ)-ওয়ার্ডে আদম আলী, ৫নং-(তাহেরপুর)-ওয়ার্ডে আসাদুজ্জামান মোড়ল, ৬নং-(জুড়ানপুর-বিজয়রামপুর আংশিক)-ওয়ার্ডে আব্দুল কুদ্দুস, ৭নং-(মোহনপুর)-ওয়ার্ডে কামরুজ্জামান কামরুল, ৮নং-(কামালপুর-মোহনপুর আংশিক)-ওয়ার্ডে বাবুল রহমান, ৯নং-(বিজয়রামপুর)-ওয়ার্ডে আয়ুব পাটোয়ারী বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১নং-(১,৫,৬)-সংরক্ষিত ওয়ার্ডে অনিমা মিত্র, ২নং-(২,৩,৪)-ওয়ার্ডে অপেলা খাতুন এবং ৩নং-(৭,৮,৯)-ওয়ার্ডে গীতা রানী কুন্ড বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত মণিরামপুর পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠ ও অবাধ করতে প্রতি কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় পুলিশ, আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৪টি মোাবইল টীম, বিজিবি, র্যাব, স্ট্রাইকিং ফোর্স, ডিবি পুলিশের টীম আইনশৃংখলা বজায় রাখতে দায়িত্ব পালন করে।
সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার সহিদুর রহমান জানান, নির্বাচন সুষ্ঠ ও অবাধ করতে আইন শৃংখলা বাহিনীর কয়েকটি টীম ও সিভিল প্রশাসন পৃথক-পৃথক ভাবে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়া ১জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতিকেন্দ্রে ৫জন পুলিশ, ৯জন আসনসার সদস্য (২জন অস্ত্রধারি) দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া প্রতিটি টীমে ১ জন পরিদর্শকের নেতৃত্বে ১জন এসআই, ১জন এএসআই, ১জন নায়েক ও ৪জন কনস্টেবলের সমন্বয়ে ৪টি মোাবইল টীম, ২প্লাটুন বিজিবি ( প্রতি প্লাটুনে ২০ জন), র্যাবের ২টি টীম, ১জন পরিদর্শকের নেতৃত্বে ১জন এসআই, ১জন এএসআই, ১জন নায়েক, ৪জন পুরুষ কনস্টেবল ও ২জন মহিলা কনস্টেবলের সমন্বয়ে ২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ১জন পরিদর্শকের নেতৃত্বে ২জন এসআই, ২জন এএসআই ও ৫জন কনস্টেবলের সমন্বয়ে ডিবি পুলিশের ১টি টীম দায়িত্ব পালন করেন।