মধুপুরে আদিবাসীদের মানববন্ধনওস্মারক লিপি প্রদান।
টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণার নামে মধুপুরের আদিবাসীদের নিজ ভূমি হতে বনবিভাগ কর্তৃক উচ্ছেদ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ শে জানুয়ারি) দুপুরে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের আনারস চত্তরে মধুপুর গড়ের সংক্ষুব্দ আদিবাসী জনতার ব্যানারে, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক এর সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বাগাছাস কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি জন জেত্রার সঞ্চালনায়, মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আদিবাসী নেতা অজয় এ মৃ, উইলিয়াম দাজেল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরিফ আহমেদ নাছির, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম, সুলেখা ম্রং সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উক্ত মানববন্ধনে ইউজিন নকরেক বলেন, মধুপুর গড়াঞ্চলে শতশত বছর ধরে আদিবাসীদের বসবাস কিন্তু বনবিভাগ কয়দিন পরপর আদিবাসীদের নিজ ভূমি উচ্ছেদ করার নোটিশ প্রদান করে। আমরা মধুপুরের জনগণ বনবিভাগ কর্তৃক তথাকথিত উচ্ছেদ নোটিশ মানিনা।
অজয় এ মৃ বলেন, বনবিভাগ হওয়ার আগ থেকেই মধুপুর বনে আদিবাসীরা বসবাস করছেন। সুতরাং আলোচনা ছাড়াই আদিবাসীদের উচ্ছেদ নোটিশ দিয়ে যে নীল নকশা করছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাই।”
অলিক মৃ বলেন, এর আগেও প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আদিবাসী পীরেন নিহত হয়। এখন পর্যন্ত আমরা পীরেন হত্যার বিচার পাইনি। বরং গড়াঞ্চলের নিরীহ আদিবাসীদের নামে শতশত মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অবিলম্বে পীরেন হত্যার বিচার করতে হবে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আদিবাসীদের ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
উক্তমানববন্ধন থেকে নেতৃবুন্দ আগামী ৩১ জানুয়ারি জলছত্র মাঠে এক মহাসমাবেশের ঘোষণা করেন। মানববন্ধন শেষে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।