জেলার খবর

গাজীপুরের শ্রীপুরে জনতা ব্যাংকে মর্টগেজ দেওয়া জমি গোপনে বিক্রি থানায় অভিযোগ।

মোঃ আজাহার সরকার, জেলা প্রতিনিধি-(গাজীপুর)

গাজীপুরের শ্রীপুরে জনতা ব্যাংকে মর্টগেজ দেওয়া জমি গোপনে বিক্রি থানায় অভিযোগ।

গাজীপুরের শ্রীপুরে জনতা ব্যাংকের কাছে মর্টগেজ দেওয়া জমি গোপনে বিক্রি করেছে, মোঃ রমিজ উদ্দিন খন্দকার নামে এক প্রতারক।

ভালুকা জামিরদিয়া হোসেন আলী সরকারের ছেলে সালাউদ্দিন সরকার (৪৫) বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় প্রতারক রমিজ উদ্দিন খন্দকারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রমিজ উদ্দিন খন্দকার একজন মিথ্যা বাদী,প্রতারক ও পরধন আত্মাসাৎ কারী লোক। নিম্ন তফসিল বর্ণিত জমি আমি ও বিবাদী বিগত ২৭/০৪/২০০০ ইং তারিখে জনতা ব্যাংক,জনতা ভবন কর্পোরেট শাখা এর নিকট বন্ধকী দলিল নং- ৩৬১৯ এবং একই তারিখে আম মোক্তার নামা দলিল নং- ৩৬২০ মূলে বন্ধক রাখি। জমিতে আমি মেসার্স নাজাম পোল্ট্রি লিঃ প্রতিষ্ঠান করিয়া সুনামের সহিত ব্যবসা করিয়া আসিতেছে। প্রকাশ থাকে যে, তফসিল জমি বিবাদীর নিকট হইতে ইতিপূর্বে ক্রয় করি কিন্তু রেজিঃ দলিল না করিয়া তাহার মাধ্যমে সরাসরি ব্যাংকে মর্টগেজ দেয়। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় বিবাদী প্রতারণার আশ্রয়ে আমি ও উল্লেখিত ব্যাংকে অবগত না করিয়া অন্যায়ভাবে আর্থিক লাভবান হওয়ার আশায় তফসিলি জমি (বন্ধককৃত) বিগত ২২/১২/২০০৮ ইং তারিখে সাব কাবলা রেজিঃমূলে অনত্র বিক্রয় করিয়া দেয়। বিশ্বস্ত সূত্রে বিষয়টি জানিতে পারিয়া আমি এস,আর অফিসে তল্লাশি দিয়া রেজিঃ দলিলের সত্যতা পাই। উক্ত বিষয়ে বিবাদীকে জিগ্যাসা করিলে বিবাদী আমার সাথে প্রতারামূলক কথাবার্তা বলিয়া আসিতে থাকে।

বিবাদীকে জমি বিক্রয়ের বিষয়ে বহুবার আমি ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জিজ্ঞাসাবাদ করিলে বিবাদী কোনো সদুত্তর না দিয়া তালবাহানা মূলক তারিখ দিয়া ঘুরাইয়া আসিতে থাকে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

তফসিলঃ জেলা- গাজীপুর থানা ও সাব রেজিঃ অফিস শ্রীপুর অধীন ৯ নং মহাল ৭ নং কেওয়া মৌজাস্হিত সি.এস ১/৭৯ এস.এ ৩২ আর.এস ৯১৮ নং খতিয়ানে সিএস ও এস.এ ৬৬৯ আর.এস ১৯৪৬ নং দাগের কাতে নালিশী জমির পরিমাণ ৩৫ শতাংশ, যাহার উত্তরে চান মিয়া, দক্ষিণে শমসের আলী, পূর্বে আঃ রহিম মোল্লা, পশ্চিমে ফজর বানু ওরফে ফয়েজ বানু বিবি।

এবিষয়ে রমিজ উদ্দিন খন্দকারের কাছে জানতে চাইলে বলেন, সালাউদ্দিন সরকার আর আমি ফুফাতো মামাতো ভাই,আমি আমার জমি বিক্রি করেছি। জনতা ব্যাংকের কাছে মর্টগেজ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, জমি জনতা ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে সালাউদ্দিন সরকারের জন্য মর্টগেজ এর জন্য গেরেন্টার হই।

এবিষয়ে সালাউদ্দিন সরকার বলেন, আমি ৩৫ শতাংশ জমি ক্রয় করি, প্রতি শতাংশ জমি ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা করে দিয়েছি। আমার আত্নীয় হওয়ায় জমি রেজিঃ করা বিলম্ব হলে আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গোপনে আমার জমি অন্যের নিকট বিক্রি করে ফেলে প্রতারক রমিজ উদ্দিন খন্দকার এবং জনতা ব্যাংকের কাছে ৩৫ শতাংশ জমি বন্ধক রেখে ঋণ করেছি,বন্ধকী কাগজে রমিজ উদ্দিন খন্দকার ও আমি সালাউদ্দিন সরকারের সাক্ষর আছে। আমি এবিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দুদক প্রশাসন সহ সকলের নিকট সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাচ্ছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button