জেলার খবর

ময়মনসিংহের ভালুকায় আলহাজ্ব সালাউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা।

মোঃ আজাহার সরকার, জেলা প্রতিনিধি-(গাজীপুর)

ময়মনসিংহের ভালুকায় আলহাজ্ব সালাউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা।

ময়মনসিংহ ভালুকায় উপজেলায় হবিরবাড়ী ইউনিয়ন জামিরদিয়া গ্রামের সালাউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করার প্রতিবাদ করেছে ইউনিয়নের জনসাধারন।

জানা যায়, উপজেলার জামিরদিয়া গ্রামের মৃত উমর আলী মন্ডলের ছেলে মোঃ নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে বিজ্ঞ আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

ভালুকা সি.আর মোঃ নং ৬৮৯/১৯ মামলা নং-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩৮৬/৩৮৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬/৩৪ দঃবিঃ ২০১৯ তাং ২২/১১/২০১৯ইং।

উক্ত মাললায় ১। সালাউদ্দিন সরকার, ২। সোহেল মিয়া, ৩। বাবু সরকার , ৪। সারফুল ইসলাম, ৫। সাহেব আলী আকন্দ, ৬। মোফাজ্জল হোসেন,৭। আনোয়ার হোসেনকে আসামী করে একটি মামলা করে।

এরই প্রতিবাদে ইউনিয়নের জনসাধারণের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় উপস্থিত সাধারণ জনগণ বলেন, মোঃ হাজ্বী সালাউদ্দিন সরকার একজন সমাজসেবক দানবীর, এলাকায় অসহায় দরিদ্র মানুষের সকল বিষয়ে সার্বিক সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। উনি একজন ধার্মিক,হাজ্বী ৮/৯ বার পবিত্র হজ্জ পালন করেছেন।

উনার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান গুলো হচ্ছে এমডি সানজানা নিট লিমিটেড, চেয়ারম্যান নাজাম পোল্ট্রি লিমিটেড, এমডি Hamza ওবেন ব্যাগ লিমিটেড, S.S Enterprise and S.S Agroo Propitor. এছাড়াও সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন স্কুল প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জামিরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সভাপতি হোসেন আলী সরকারি একাডেমি, বিদ্যুৎসাহী আইনুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা, কোষাধ্যক্ষ আমেনা খাতুন ফাউন্ডেশন লিমিটেড।

হাজ্বী সালাউদ্দিন সরকার বলেন, জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কতিপয় অদৃশ্য ইশারায় ২০১৯ সালে আমার বিরুদ্ধে ১৫ টি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন এবং বিভিন্ন লোকজনকে ব্যবহার করে একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করাচ্ছে।

নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে যে মামলায় আমি বা আমরা আসামি হয়েছি সেই মামলা পূর্বে সি.আর মোঃ নং – ৫৮৭ /১৯, ধারা – ৪০৬/৪২০ দঃ বিঃ মোকদ্দমায় নূর মোহাম্মদকে হুজুরাদালত জামিনে আছে। আমার বিরুদ্ধে জমি দখল এবং চাঁদা দাবির বিষয়টিও মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন।

হাজ্বী সালাউদ্দিন সরকার আরও বলেন, অত্র মোকদ্দমা ১,২,৯ এবং পি.বি.আই রিপোর্ট দাখিলী উল্লেখিত অন্য ২ জন সাক্ষী ঘটনা দেখে নাই মর্মে এফিডেভিট আদালতে প্রদান করে এবং ১ নং সাক্ষী বাদীর ভায়রা ভাই ৩ ও ৯ নং সাক্ষী বাদীর স্ত্রীর ভাই। সাক্ষীরা আমার অনুকূলে আদালতে এফিডেভিট প্রদান করে। এটি একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলা।

এই বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রফিকুল ইসলাম খানকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করে পাওয়া যায়নি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button