জেলার খবর

বাঁশখালীতে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, স্লুইসগেট নির্মানের দাবীতে মানব বন্ধন।

এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপহেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)

বাঁশখালীতে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত, স্লুইসগেট নির্মানের দাবীতে মানব বন্ধন।

চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থ স্লুইসগেট দিয়ে নিয়মিত জোয়ারের পানি ঢুকে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে চাষিদের ফসলের ক্ষেত, প্লাবিত হচ্ছে লোকালয়ের ঘরবাড়ি।

দুর্বিসহ জিবনযাপন করছে এলাকার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্থ স্লুইসগেইট নির্মাণের দাবীতে ভোক্তভোগী এলাকাবাসীদের মানববন্ধন করেছে।

১৬ নভেম্বর’২০ ইং সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় উপজেলার পুইছড়ী ইউনিয়নের পুটখালী স্লুইসগেট সংলগ্ন এলাকায় ধ্বংসপ্রায় পুটখালী স্লুইসগেটটি স্থায়ীভাবে টেকসই ও মজবুতভাবে নির্মানের দাবীতে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়।

মানব বন্ধনে অংশগ্রহনকারী এলাকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, বাঁশখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম পুঁইছড়ির সাথে পার্শ্ববর্তী পেকুয়া উপজেলার আরবশাহ বাজারের সংযোগ পুটখালি খালের স্লুইসগেইটটি অতীতে যেনতেনভাবে নির্মান করায় এখন প্রায় ধ্বংসপ্রায়, ফলে প্রতিনিয়ত জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে স্থানীয়রা জানান, ‘বাঁশখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী পুইঁছড়ি-ইউনিয়নের পাহাড়ী ঢলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র ব্যবস্থা ও ছড়ার পানি চলাচলের জন্য পুটখালি খালে যে স্লুইসগেট নং -৪, হোল্ডিং নং-৬৪/১এ, আছে তা কয়েক বছর ধরে সংস্কার বিহীন পড়ে থাকায় জোয়ারের পানিতে ডুবে যাচ্ছে লোকালয়।

এতে ক্ষেতের ফসলি জমি লোনাপানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্থানীয় প্রান্তিক চাষীরা। ইতোমধ্যে স্লুইসগেইট দিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ডুকে চলাচলের সড়ক তলিয়ে বাসা-বাড়িতেও ডুকে পড়ছে পানি। অনেকে দুঃর্বিসহ জীবনযাপন করছে। চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ছে সড়ক পথ।

তারা আরো বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গাফেলতির কারণে সংস্কার হচ্ছেনা বাঁশখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী পুঁইছড়ি ইউনিয়নের আরবশাহ্ ঘোনা স্লুইসগেইটটি।

১৯৮২ সালে নির্মিত ছনুয়া পুটখালি খাল সংলগ্ন পুইছড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম পুঁইছড়ির সাথে পার্শ্ববর্তী পেকুয়া উপজেলার আরবশাহ বাজারের সংযোগ স্লুইসগেইট সংযোগ বেড়ীবাঁধটিও ভেঙে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। যে কোন সময় বাঁধ ভেঙে দক্ষিণ ও পশ্চিম পুইঁছড়ির প্রায় ১৮ হাজার বসতঘর তলিয়ে যাওয়ার শংকায় পার করছি জীবন।

স্থানীয় রোটারিয়ান মুবিনুল হক মুবিন বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বারবার ধার্ণা দিয়েও তেমন কোন জরুরি কার্যকর ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি না, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে স্লুইসগেটের কার্যক্রম দৃশ্যমান না হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলীকে স্মারকলিপি দেয়া হবে।

মানববন্ধনে এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা শীঘ্রই টেকসই বাঁধ ও স্লুইসগেইট নির্মাণের জন্য সংশ্লীষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button