ঈদে গ্রামের বাড়ি না যেতে দিতে মাঠপর্যায়ে আইজিপির নির্দেশ।
ঈদ উদযাপনে কাউকে গ্রামের বাড়ি যেতে না দিতে মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
গতকাল রোববার (১৭ মে) মাঠ পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
এ কনফারেন্সে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, ঈদ উপলক্ষে ও সরকার ঘোষিত বর্ধিত ছুটি উদযাপনের জন্য অনেকেই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছেন। এটি কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না।
সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোনোভাবেই যেন কেউ ঢাকায় প্রবেশ এবং ঢাকার বাইরে যেতে না পারেন। একইভাবে প্রতিটি জেলা ও মহানগরীও জনস্বার্থে কঠোরভাবে এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করবে।
শপিংমল ও মার্কেটে যেন যথাযথ নিয়ম-কানুন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা য় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। সব ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন পুলিশ প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী জনগণের সার্বিক কল্যাণের জন্য যে সব নির্দেশনা দিয়েছেন, তা সবাইকে যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। সাধারণ মানুষকে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের যে সব দেশপ্রেমিক বীর সদস্য আত্মোৎসর্গ করেছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ও তাদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আলোচনা শুরু করেন আইজিপি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে হাসি মুখে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন। অনেক সদস্য ইতোমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা ও কল্যাণে প্রয়োজনীয় নানা উদ্যোগের বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।
করোনা মোকাবিলায় সফল দেশের পলিসি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পলিসিসহ বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনার আলোকে পুলিশ সদস্যের জন্য একটি আধুনিক এসওপি (স্ট্যান্ডিং অপারেটিং প্রসেডিওর) তৈরি করে সব ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। এ নির্দেশনাটি যথাযথভাবে সবাইকে অনুসরণের নির্দেশনা দেন আইজিপি।
দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের নিজেদের যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। দেশ ও মানুষের সেবা একটি বিরল সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে হবে। পাশাপাশি, জনসেবার এ ধারা অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
যে কোনো প্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পুলিশ প্রধান বলেন, সব ধরনের পুলিশি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এ লক্ষ্যে, দেশব্যাপী বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হবে।
ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক আইন-শৃঙ্খলা কার্যক্রম অধিকতর বেগবান ও ফলপ্রসূ করতে পর্যায়ক্রমে সব ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক পুলিশ কর্মকর্তা মনোনীত করা হবে। এতে পুলিশের কাজের অধিকতর জবাবদিহিতাও নিশ্চিত হবে। পুলিশকে বর্তমানের মতো করে সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।