অপহরণ হওয়ার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি গৃহবধু রিপা অধিকারীকে
রশিদুল ইসলাম টিপু, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
অপহরণ হওয়ার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি গৃহবধু রিপা অধিকারীকে
দিনাজপুর সদর উপজেলার ২নং সুন্দরবন ইউনিয়নের কৃষক দিনেশ অধিকারীর বিবাহিত কন্যা রিপা অধিকারী স্বামীর বাসা কাহারোল থেকে গত ১২ মে বৃহস্পতিবার বাবার বাড়ি আসার পথে সুন্দরবন তুলা ফার্মের সামনে একই গ্রামের প্রতিবেশী সহির উদ্দিন মন্ডলের পুত্র মোঃ শুকুর আলী মন্ডল (৪৮) আমার কন্যা রিপা অধিকারীকে ফুসলিয়ে ও তাকে বিভিন্ন প্রকার লোভ লালসা দেখিয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহায়তায় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
আমি আমার কন্যা রিপাকে তার মোবাইল ফোনে কল করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাই। এরপর আমি আমার মেয়েকে ফেরত আনার জন্য শ্রী সৌরভ রায়, শ্রী সন্তোষ কুমার রায়, মোঃ আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেকের বাড়ীতে খোঁজ নেই কিন্তু অপহরণকারী শুকুর আলী মন্ডল বা আমার মেয়েকে পাইনি। অপহরণকারী মোঃ শুকুর আলী মন্ডল (৪৮) ০১৭৬৫৩৪২৭২১ নম্বর হতে আমার মোবাইলে কল দিয়ে হুমকি দিয়ে বলে, সে আমার আমার মেয়েকে ফেরত দেবেনা। আমার মেয়ের বিষয়ে মামলা মকদ্দমা করলে সে আমাকে ও আমার মেয়েকে জোবাই করে লাশ গুম করে দেবে।
এব্যাপারে আমি এলাকার ইউপি সদস্যা শেফালী রানী ও ইউপি সদস্য হামিদুর রহমান এবং পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানাই। গতকাল রবিবার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, ইউপি মেম্বারগণ ও ইয়ুথ ফর হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি ও কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিডিসি)’র নির্বাহী পরিচালক যাদব চন্দ্র রায় মেয়ের বাবার বাড়ীতে গেলে কন্যার শোকে অর্ধ পাগল দীনেশ অধিকারী চিৎকার দিয়ে বলেন, আমার কন্যাকে না পেলে আমি আত্মহত্যা করবো।
কন্যার মা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শুকুর আলী মন্ডল আমার মেয়েকে ভয় দেখিয়ে প্রায় নগদ সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি অপহরণকারীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং কন্যা রিপা অধিকারীতে ফেরত পেতে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। উল্লেখ্য, উক্ত অপহরণকারী মোঃ শুকুর আলী মন্ডল বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এর ড্রাইভার।
অপহরণকারী তিন কন্যার জনক। এব্যাপারে রিপা অধিকারীর পিতা দীনেশ অধিকারী দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় ১৪/০৫/২০২১ইং তারিখে এজাহার দায়ের করেন এবং উক্ত অপহরণের তদন্তের ভার পড়ে এসআই দেবী কান্ত রায় এর উপর।