শ্রীমদভগবদ গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ন্যের সংতক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ
রনজিত কুমার পাল (বাবু) স্টাফ রিপোর্টারঃ
শ্রীমদভগবদ গীতার ১৮ টি নামের মাহাত্ন্যের সংতক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ
সনাতনধর্মাবল্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র অন্যতম প্রধান ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদভগবদগীতা। প্রতিটি সনাতনধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে এ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ শ্রদ্ধার সহিত সুরক্ষিত থাকে।প্রতিনিয়ত সনাতনধর্মাবলম্বীরা এ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ করে থাকে। এ’ধর্মগ্রন্হ পাঠে পরিবার সমাজ দেশের সার্বিক কল্যাণ সাধিত হয় সেই সাথে সকল অশুভ কাজ, মন্দ কাজ দূরীভূত হয়ে থাকে।
নিম্নে পবিত্র গীতার ১৮টি নামের মাহাত্ম্য সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোকপাত করা হলো-
০১) গঙ্গাঃ- এর অর্থ হল, গঙ্গায় ডুব দিলে কোন ব্যাক্তি তার সকল পাপ নাশ করতে পারে ।তাই সবার প্রথমে গঙ্গার নাম নেয়া হয়।
০২) গীতাঃ -যে ব্যাক্তি গীতাপাঠ করেন সেই মুহুর্তেই তার সকল পাপ নাশ হয় । তাই এখানে গীতার কথা বলা হয়েছে।
০৩) সাবিত্রীঃ -তিনি এতটাই সতী ছিল যে, সে তার মৃত স্বামীর প্রান ফিরিয়ে এনেছিল। তাই এখানে সাবিত্রীর কথা বলা হয়েছে।
০৪) সীতাঃ -ভগবান রামের স্ত্রী ,মাতা সীতা এতটাই পবিত্র ছিল যে, রাবণ শত চেষ্টার পরেও তা নষ্ট করতে পারেনি। তাই সীতা নাম মহাপবিত্র বলা হয়।
০৫) সত্যাঃ- সত্যা বলতে আমাদের আত্মার কথা বলা হয়েছে।আত্মা যেমন আমর গীতাও তেমনি অমর।
০৬) পতিব্রতাঃ -পতিব্রতা বলতে ভগবানের প্রতি আনুগত্য থাকা।কারন একমাত্র ভগবান সকলের পতি আর আমরা সকলেই তার পত্নী।
০৭) ব্রহ্মাবলীঃ -ব্রহ্মশক্তী থেকে নির্গত শক্তীকে বলাহয় ব্রহ্মাবলী।যে শক্তীর বিনাশ নেই।
০৮) ব্রহ্মবিদ্যাঃ- ব্রহ্মবিদ্যাকে আমরা ব্রহ্মাবলীর অনুরুপ বলতে পারি।
০৯) ত্রিসন্ধ্যাঃ- ত্রিসন্ধ্যা মানে হল তিন কালের সমষ্ঠী যথা,ইহকাল, বর্তমান কাল ও পরকাল।
১০) মুক্তিগ্রিহীনিঃ- গীতাপাঠ করলেই মুক্তি পওয়া সম্ভব।তাই এই নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
১১) অর্ধমাত্রাঃ- গীতায় ভগবান বলেছেন গীতা তার অর্ধক তাই এই অর্থ ব্যবহার করা হয়েছে।
১২) চিতানন্দাঃ- চিৎ জগতের যে আনন্দ তাই চিরানন্দা।
১৩) ভবগ্নীঃ- (ভব+অগ্নি) অগ্নি যেমন সোনা পুরে খাঁটি
সোনায় পরিবর্তন করে। ঠিক তেমনি গীতাই পারে আমাদের ভবপুরের সকল পাপ দুর করতে।
১৪) ভ্রান্তি নাশিনীঃ- আমরা আমাদের চারপাশের জিনিস দেখে বিভ্রান্ত হই। আর একমাত্র গীতাই পারে আমাদের এই ভ্রান্তি নাশ করতে।
১৫) বেদত্রয়ীঃ- ত্রিবেদের সমান্যয়ে গঠীত শক্তিই হলো বেদত্রই।
১৬) পরানন্দাঃ- অপরের দোষ না দেখে তার ভাল দিক দেখার মধ্যে যে আনন্দ।গীতায় তার কথাই বলা হয়েছে।
১৭-১৮) তত্ত্বার্থ-জ্ঞানমঞ্জুরীঃ- গীতা পৃথিবীর সকল জ্ঞান তথা বিজ্ঞানের আধার।তাই একে জ্ঞানমঞ্জুরী বলা হয়েছে।