নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ভূমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ থাকায় সরকার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত
আনোয়ারুল করিম মানিক, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালীঃ
লক ডাউনের কারনে বেগমগঞ্জে রেজিষ্ট্রি বন্ধ থাকায় সরকার আড়াই মাসে কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত ও ঐ অফিসে কর্মরতরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অনটনে দিন কাটছে।
বেগমগঞ্জ রেজিষ্ট্রি অফিসে এক কর্মকর্তা জানান, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৬টি ইউনিয়নের ভূমি রেজিষ্ট্রির একমাত্র উক্ত অফিসে প্রতি মাসে গড়ে দেড় হাজার দলিল রেজিষ্ট্রি হতো। এতে সরকার প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব পেত। কিন্তু গত আড়াই মাসে লকডাউনের কারনে সরকার কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এ অফিসে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিরা বেতন ভাতা পেলেও সেবামুলক কাজ করতে না পেরে অনেকেই মানসিক হতাশায় ভুগছে।
ভোক্তভোগি দলিল লেখক ও ভেন্ডাররা বলেন, উক্ত অফিসে লাইসেন্স প্রাপ্ত ২ শতাধিক দলিল লেখক ও ভেন্ডার প্রতি মাসে সরকারকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করে দিয়ে আসছে। কিন্তু গত আড়াই মাসে লকডাউন থাকায় সরকারি ভাবে কোন সহযোগীতা না পাওয়ায় লেখক ও ভেন্ডাররা বেকার হয়ে পড়ায় তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে জীবন যাপন করছে। সরকার একের পর এক লকডাউন দিতে থাকুক। কিন্তু প্রতিজন দলিল লিখক এবং ভেন্ডারের লাইসেন্সের অনুকুলে ১০ লক্ষ টাকা হারে বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার দাবী করছে।
কয়েকজন জনপ্রতিনিধি জানান, বেগমগঞ্জ রেজিষ্ট্রি অফিসে দলিল নিবন্ধন হলে প্রতি দলিলে স্থানীয় সরকার কর ৩% চৌমুহনী পৌরসভা ২% প্রতি ইউনিয়নে ১% হারে উন্নয়ন কর পাওয়া যেত। কিন্তু গত আড়াই মাসের অধিক সময় ধরে অবকাঠামো উন্নয়ন কর পাওয়া নিয়ে হতাশা দেখা দিয়েছে। এতে চৌমুহনী শহর ও গ্রাম অঞ্চলের রাস্তাঘাট সংস্কার, পোল কালভাট সহ উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড থেকে বেগমগঞ্জবাসী বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নকল নবিশরা বলেন, সরকারের লকডাউনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলেও আমাদের রুটি রুজির উপর যেভাবে আঘাত এসেছে এতে কিভাবে সংসার চলবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাই নকল নবিশদের দিকে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।