পাইকগাছায় সরকারী খাসখালের বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখায় পাকা রাস্তা প্লাবিত : জনদুর্ভোগ চরমে
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
পাইকগাছায় সরকারী খাসখালের বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখায় পাকা রাস্তা প্লাবিত : জনদুর্ভোগ চরমে
পাইকগাছায় সরকারী খাসখালে বাঁধ দেয়ায় জোয়ার ও বর্ষার পানি আটকে গিয়ে পাকা রাস্তা প্লাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। এতেকরে পাঁচ গ্রামের যতায়াতে একমাত্র রাস্থাটি পানির নীচে তলিয়ে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। প্লাবিত হয়েছে অনেক জায়গা।
স্থানীয় শঙ্করদানা গ্রামের সুরেশ মন্ডল জানান, সরকারী বাটুলতলা খাল বাঁধ দিয়ে পঙ্কজ বিশ্বাস, বাবুলাল বিশ্বাসসহ দুই তিনজন চিংড়ি ঘের করে আসছে। গত কয়েকদিন ধরে খালে জোয়ারের পানি তুলে ও অতিবৃষ্টির ফলে পানি আটকে রাখায় সরকারী রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। এ রাস্তাটি শঙ্করদানা, হাড়িয়া, শচিয়ারবন্ধ, আঁধারমানিক ও তেঁতুলতলা ৫ গ্রামের ৮ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। তেঁতুলতলার প্রীতিষ কুমার মন্ডল জানান, আমাদের তুতুলতলা গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষ এ পথ দিয়ে যাতায়াত করে।
অতিরিক্ত জোয়ারের পানি উঠিয়ে ডুবিয়ে দেয়ার ফলে ভালো কাপড় পরে পাইকগাছা সদরে যেতে পারছি না। হাড়িয়ার নিউটন বিশ্বাস জানান, প্রতিবছর কৃতিম জলবদ্ধতা সৃষ্টি করে মানুষের ঘেরের মাছ খালে নিয়ে আসার সুকৌশল হিসাবে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে আসছে। হাড়িয়ার রনজিৎ বিশ্বাস জানান, খাল ইজারার নামে বাবুলাল এ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। এ বিষয় বাবুলাল বিশ্বাস জানান, পানি সরানো গেটের মুখ ভেঙ্গে গেছে। সেটি মেরামত করা হয়েছে, দু’এক দিনের মধ্যে পানি সরানো হবে।
লতা ইউপি চেয়ারম্যান চিত্তরজ্ঞন মন্ডল জানিয়েছেন, বাবুলাল প্রতিবছর খামখেয়ালী ভাবে এমন কাজ করে থাকে। তবে আমার সরকারী রাস্তার উপর পানি তুলে জনদুর্ভোগ সৃষ্ট করবে আমি সেটি মেনে নিব না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। জোয়ার দিয়ে সরকারী রাস্তা নষ্ট করবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।