জেলার খবর

হাতিয়ায় মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা,সৎমা কারাগারে

মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

হাতিয়ায় মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা,সৎমা কারাগারে

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হরনী ইউনিয়নে মেয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে সৎমাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত খালেদা আক্তার (২৯) উপজেলার হরনী ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের স্ত্রী।

নিহত শাবনূর বেগম (১২) হরনী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ আদর্শ বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের মেয়ে এবং স্থানীয় দক্ষিণ আদর্শ গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। শুক্রবার (২৮মে) রাত ৮টায় হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,গত বুধবার (২৬ মে) এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে অভিযুক্ত স্ত্রীকে প্রধান আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ওসি আবুল খায়ের বলেন, গত (২৫ মে) দুপুর দেড়টার দিকে নিখোঁজের ১২ ঘন্টা পর পুলিশ উপজেলার দক্ষিণ আদর্শ গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনের একটি ঝোপঝাড় থেকে নিখোঁজ ওই স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে এবং একই সাথে তার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে সৎ মাকেও আটক করে পুলিশ। পরে বৈরি আবহওয়ার কারণে নৌ-চলাচল বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

নিহতের পিতা আবুল কাশেম জানান, গত ১২ বছর আগে সন্তান প্রসবের সময় তার প্রথম স্ত্রী মারা যায়। প্রথম ঘরে তার ৩ মেয়ে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী খালেদা আক্তারের (২৯) ঘরে তার তিন ছেলে মেয়ে রয়েছে। তিনি স্থানীয় আদর্শ গ্রাম বাজারের একজন ব্যবসায়ী।

গত সোমবার (২৪ মে) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তার মেয়ে তাকে দোকানে সহযোগীতা করে। পরে তিনি মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। দুপুরের দিকে তিনি বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু তিনি দিন রাত খুঁজে তার কোন সন্ধান পাননি। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে প্রতিবেশীরা দক্ষিণ আদর্শ গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনের ঝোপঝাড়ের মধ্যে শাবনূরের মরদেহ দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়।

নিহতের পিতা আবুল কাশেম অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পর তার বসত ঘরের একটি কক্ষে রক্তের দাগ দেখতে পাওয়া যায়। তার একটি লুঙ্গি এবং নিহত শাবনূরের একটি নতুন ওড়না ঘরের মধ্যে ভিজে পাওয়া যায় এবং ঘরের পাশে দুটি লাঠি পাওয়া যায়। সৎ মা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি আরো জানান, তার দ্বিতীয় স্ত্রী খালেদা আক্তার পারবারিক কলহের জের ধরে তাকে অনেকবার নির্যাতন করেছেন। একাধিকবার অন্ডকোষ চেপে হত্যা করতে চেষ্টা করেন।

হাতিয়া মোর্শেদবাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন জানান, শাবনূরকে মাথায়,মুখে,ঘাড়ে,কানে দা দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করে ঝোপঝাড়ে মরদেহ ফেলে দেয় সৎমা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button