শার্শার বাগুড়ীতে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে অবৈধ কসাইখানা
স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ও শার্শা উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শেফালী খাতুনের যোগসাজশে
যশোরের শার্শা উপজেলার বাগুড়ী মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে কিছু অসাধু মাংস ব্যবসায়ীদের অবৈধ কসাইখানা।
এ অবৈধ কসাই খানায় প্রতিদিন ভোরে অসুস্থ ও রুগ্ন পশু জবাই করে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য আবাসিক এলাকায় ও মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র ফেলা হয়। ফলে পশুর রক্ত, গোবর, হাড় পঁচা তীব্র গন্ধ ও জীবাণু এলাকার পরিবেশ ভীষণভাবে দূষিত হচ্ছে।
এদিকে, জনসাধারণের প্রতি সুদৃষ্টি বিবেচনায় নির্দিষ্ট জায়গা ব্যতীত পশু জবাই নিষিদ্ধ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন নাগরিক।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, রিপন, মিলনসহ অনেক অসাধু মাংস ব্যবসায়ীরা যত্রতত্র অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে হরহামেশাই সেখানে ধূলাবালিযুক্ত মাংস বিক্রি করে আসছে বহুদিন ধরে। অবৈধ এসব কসাইরা অসুস্থ ও রুগ্ন পশু ভোরে জবাই করে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য আবাসিক এলাকায় ও মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়।
সেখানে থেকে বেওয়ারিশ কুকুরগুলো বিভিন্নভাবে পার্শ্ববর্তী বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জীবাণু ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই সব বেওয়ারিশ কুকুরের আক্রমণ ভয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকে শিশু শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। এতে ভীষণভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার অধিবাসী ও ব্যবসায়ীরা। জীবাণুবাহী পরিবেশে স্থানীয় অধিবাসীদের বসবাসের অনুপযোগী ও কষ্টসাধ্য পার্শ্ববর্তী ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনা করা।
পরিবেশ ঠিক রেখে পশু জবাই ও বিক্রির ছাড়পত্র দিয়ে থাকেন স্যানেটারী ইন্সপেক্টর। অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনকে নগদ নারায়নে তুষ্ঠু করে ও চুক্তিভিত্তিক মাংস বরাদ্দের বিনিময়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন এসব অসাধু মাংস ব্যবসায়ীরা।
কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান হাসান ফিরোজ টিংকু সাংবাদিকদের বলেন, মিলন রাস্তার পাশে গরু জবাই করে। খুব ভাল মাংস সাপ্লাই দেয় এবং ভাল গরুও জবাই করে। সবকিছুতো আর আমরা দেখে চলতে পারি না। আমরা অনেক কিছু দেখেও, না দেখার ভান করি। কারণ জনগণের স্বার্থে করতে হয় এগুলো। সবকিছু যদি ধরতে যাই তাহলে পথ চলা যাবে না।
শার্শা উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শেফালী খাতুন বলেন, পশু জবাই বিষয়টা আমার না। ব্যবসায়ীরা মাংস বিক্রিকালে ভাল খারাপ কিনা এটা আমি দেখি। পরিবেশ দূষণের দিকটা দেখে পরিবেশ অধিদপ্তর। তবে আমি বাজার কমিটিকে বলেছি নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া পশু জবাই করা ঠিক না।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন, নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া পশু জবাই করা বেআইনী। এর ব্যত্যয় হলে তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নির্দিষ্ট জায়গা ব্যতীত পশু জবাই নিষিদ্ধ সহ অবিলম্বে অবৈধ কসাইখানা ও মাংসের দোকান উচ্ছেদ করে এলাকাবাসীকে জীবাণুমুক্ত স্বাস্থ্যকর সুন্দর পরিবেশ পায় দাবি সচেতন এলাকাবাসীর।