বগুড়ায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে গণ ধর্ষণ
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সপ্তম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী (১৩) প্রতিবেশী চার তরুণের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের দড়িপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রীর বাবা ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করলে অভিযুক্তরা হাজিরা না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগে জানা গেছে, দড়িপাড়া এলাকার এক দিনমজুরের মেয়ে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। একই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র প্রতিবেশী শাহীন প্রামাণিকের ছেলে সাদি মোঃ আবদুল্লাহ (১৭) ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তাই বাধ্য হয়ে ছাত্রী নিয়মিত স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
শনিবার সন্ধ্যার পর ছাত্রী বাড়ির পিছনে বাথরুমে যাওয়ার সময় বাড়ির পাশে লুকিয়ে থাকা বখাটে সাদির নেতৃত্বে তার বন্ধুরা একই গ্রামের নয়া মিয়ার ছেলে ধুনটের আনারপুর ভোকেশনাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সোহানুর রহমান সোহান (১৯), মোখলেসুর রহমানের ছেলে গোসাইবাড়ি ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তরিকুল ইসলাম রিমন (১৯) ও মঞ্জু প্রামাণিকের ছেলে একটি কোম্পানির কর্মচারী সৌরভ মাহমুদ মিশু (২০) তাকে কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে পাশের একটি বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা ওই ছাত্রীকে বাড়ির পাশে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রীকে খুঁজতে থাকা বাবা-মা টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরদিন বাবা-মা ধর্ষকদের বিচার চেয়ে কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেদায়েদুল ইসলাম হেদায়েতের কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু গত দুদিনেও বিচার না পেয়ে গত সোমবার থানায় মামলার প্রস্তুতি নেন।
কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেদায়েদুল ইসলাম হেদায়েত জানান, সাদি ও তার বন্ধুরা সকলে বখাটে। তিনি ছাত্রীর বাবা-মার অভিযোগ পাবার পর অভিযুক্তদের ডেকেছিলেন। কিন্তু তারা সাড়া না দেয়ায় বিচার করা সম্ভব হয়নি। তাই তাদের আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি আল আমিন জানান, একজনের সঙ্গে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক আছে। ওই প্রেমিক তার বন্ধুদের সহযোগিতায় ধর্ষণ করেছে।