বাঁশখালীতে ডাকাত ও জলদস্যুদের আত্বসমর্পনে দারুন উৎসাহ-উদ্দিপনা, আসছে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী।
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালীতে ডাকাত ও জলদস্যুদের আত্বসমর্পনে দারুন উৎসাহ-উদ্দিপনা, আসছে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী।
আগামী ১২ নভেম্বর’২০ ইং বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার সাধারন নাগরিকদের জন্য স্মরনীয় একটি দিন। কক্সবাজার, মহেশখালী এবং সুন্দরবন এলাকার জলদস্যুরা আত্বসমর্পন করে একটি সুন্দর সহনীয় সোনারবাংলা গড়ার দৃপ্ত যে প্রত্যয়ী দৃষ্ঠান্ত তৈরী হয়েছিল স্বাধিনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাছিনার সরকারের চলমান আমলে, সে ধারাবাহিকতার সোনালী সাফল্যের ইতিহাসে যুক্ত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার নাম।
এ দিন বাঁশখালীর সন্তানদের মধ্যে যারা বিভিন্নসময় ভিন্ন পরিস্থিতির শিকার হয়ে দস্যুতার মত ভয়ঙ্কর অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়ে নিজেদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ভবিষ্যতকে অনিশ্চিত করে তোলেছে তাদের স্বাভাবিক জিবনে ফিরে আসার সুবর্ন সুযোগ দিয়েছে বর্তমান সরকার।
আর জলদস্যুতার মত হীন ও ঘৃন্য কাজ থেকে স্বাভাবিক জিবনে ফিরে আসার সুযোগ তৈরী করাের নেপথ্যে মূখ্য পালন করেছে চ্যানেল ২৪-এ কর্মরত সাংবাদিক আক্রাম। ১২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বাঁশখালীতে জলদস্যুদের আত্বসমর্পনেও প্রশাসনের সর্বস্তরে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে মূখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে সাংবাদিক আকরাম।
১২ নভেম্বরের জলদস্যুদের আত্বসমর্পন অনুষ্টানের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোমেনা আক্তার জানান, বাঁশখালীতে জলদস্যুদের উৎপাতে বঙ্গোপসাগরের এবং উপকূলের জনগন অতিস্ট হয়ে উঠেছিল, কিন্তু প্রশাসনের আন্তরিক তৎপরতা ও নিয়মিত অভিযানে সাম্প্রতিক সময়ে জলদস্যুদের জিবন-যাপনে ছন্দোপতন ঘঠে।
বর্তমান সরকারও দস্যু এবং জলদস্যুদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষনা করে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা জারী করলে জলদস্যুরা তাদের পরিনতি ও ভুল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক জিবনে ফিরে আসার আগ্রহ পোষন করছে।
এটা সমাজ ও রাস্ট্রের জন্য দারুন ইতিবাচক দিক। বৃহস্পতিবারের আত্বসমর্পন অনুষ্ঠানে মাননীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রী মহোদয়, স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব মহোদয়, পুলিশের আইজিপি মহোদয়, র্যাব-এর ডিজি মহোদয়,, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মহোদয়, সিএমপি কমিশনার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এবং বাঁশখালীর মাননীয় সাংসদ সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করে আরো বলেন, এটা বাঁশখালীর জলদস্যুদের জন্য একটি সুবর্ন সুযোগ স্বাভাবিক জিবনে ফিরে এসে সরকারের সুযোগ-সুবিধার আওতায় নিজেদেরকে যুক্ত করার।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্ছ নিরাপত্তাব্যবস্থা সহ করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।কতজন জলদস্যু আত্বসমর্পন করবেন জানতে চাইলে র্যাব-৭ কোম্পানী কমান্ডার বলেন, ঠিক কতজন ডাকাত ও জলদস্যু আত্বসমর্পন করবেন তার সঠিক তথ্য অনুষ্ঠানের পূর্বরাত্রিতে নিশ্চিত করা যাবে।
তবে মাঠপর্যায়ের তথ্যানুসারে বলা যায়, আশানুরুপ অধিক সংখ্যক ডাকাত ও জলদস্যু দারুন উৎসাহ-উদ্দিপনায় তাদের অবৈধ অস্ত্র ও গোলা বারুদ সহ আত্বসমর্পন করবে।
বাঁশখালী উপকূলীয় এলাকার সকল জলদস্যু সহ ডাকাতদেরকে গভীর নজরদারীর নেটওয়ার্কে রাখা হয়েছে।বাঁশখালীতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জলদী পাইলট হাইস্কুল মাঠে স্বরাস্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্বসমর্পনের মাধ্যমে ডাকাত ও জলদস্যুরা তাদের সুন্দর আগামী রচনায় সাহসী ও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্তে বাঁশখালীর সর্বত্র ইতিবাচক আলোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে, বাঁশখালীর সুশিল সমাজ সহ সর্বস্তরের নাগরিকরা আত্বসমর্পকারীদের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন ও শূভ কামনা জানাতে দেখা যাচ্ছে।