বাঁশখালীতে অভিযান চালিয়ে ৫ লক্ষাধিক টাকার জাল পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালীতে অভিযান চালিয়ে ৫ লক্ষাধিক টাকার জাল পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
মা ইলিশ প্রজননের মৌসুমে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য আহরনে নিষেধাজ্ঞাকালীন প্রশাসনিক অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার খাটকালী এলাকায় প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার জাল পুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
২১ অক্টোবর, বুধবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের খাটকালী ঘাটে সহ: পুলিশ সুপার শিবলী সাদিকের নেতৃত্বে বাঁশখালী থানা ও গন্ডামারা পুলিশ ক্যাম্প যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
সহকারী পুলিশ সুপার শিবলী সাদিক জানান, সরকার সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ সমৃদ্ধ করতে প্রতি বছরের মত এই বছরও মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক মা ইলিশ রক্ষায় ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ব্যাপী সামুদ্রিক মাছ আহরণ, বাজারজাত, পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রিয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এ সময় সমুদ্রে মৎস্য আহরন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় এবং সমুদ্রে জাল-বোট নিয়ে অবস্থান সম্পুর্নভাবে বেআইনী ও দন্ডনীয় অপরাধ।
পুলিশ সুপার আরো জানান, অভিযানকালে আইন অমান্য করে নদীতে অনেক জেলের জালসহ বোট দেখতে পাওয়া যায়, সাথে সাথে তা জব্দ করে সমস্ত জালে আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এতে করে স্থানীয় মঞ্জর মাঝি, জুনু মাঝি, হারুন মাঝি ও আনিছ মাঝির প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার জাল পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়।
অবশ্য: ক্ষতিগ্রস্থ জেলেরা নিষেধাজ্ঞাকালীন মৎস্য আহরনের কথা অস্বিকার করে জানান, তাদের বোটগুলো নিষেধাজ্ঞার পূর্বদিন থেকে ঘাটে বাঁধা ছিল মাত্র, তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাস্পদ হয়ে নিষেধাজ্ঞাকালীন মৎস্য আহরনে যায়নি বলে জানান। তাদের জালগুলো পুড়িয়ে দেওয়ায় তারা সেব হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে বলে আহাজারী করতে দেখা যায়। এ নিয়ে এলাকার জনমনেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
অভিযান পরিচালনাকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আরিফুল ইসলাম, বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সহ বাঁশখালী থানা ও গন্ডামারা অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা।
উল্লেখ্য: যে, প্রজনন মৌসুমে একটি মা ইলিশ ২৩ লক্ষ পর্যন্ত ডিম ছাড়ে। বন্ধ রাখা সময় গুলোতে মা ইলিশ গভীর সমুদ্র থেকে এসে নদীর মোহনার স্বল্প মিঠা পানিতে ডিম ছাড়ে।