ফ’রমালিনমুক্ত আম চিনবেন যেভাবে।
প্রতি বছরই আমের মৌসুমে প্রচুর আম পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে হাত বাড়ালেই পাবেন কাঁচা-পাকা আম। তবে এখন ভেজাল খাবারে বাজার সয়লাভ।
একের পর এক চলছে ভেজাল বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। তবু থেমে নেই অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। তাই আম কিনতে হলে ফরমালিনমুক্ত চেনাই হচ্ছে
একমাত্র সমাধান। আম দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য আম ব্যবসায়ীরা এ সময় আমে ফরমালিন ব্যবহার করে থাকেন, যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। বাজারে আম কিনতে গেলে বিপাকে পড়ে যান আপনি।
বুঝে উঠতে পারেন না কোন আমে ফরমালিন আছে। এ সময়ে রমরমা ব্যবসা করতে অসাধু ব্যবসায়ীরা রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে দ্রুত আম পাকান। তাই আম যেখানে শরীরের জন্য উপকারী হওয়ার কথা, সেখানে ফরমালিন-কার্বাইড মিশ্রিত হওয়ায় তা হয়ে
উঠছে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই আম কেনার সময় আপনাকে সচেতন থাকতে হবে যে, তা রাসায়নিকমুক্ত কিনা। আসুন জেনে নিই রাসায়নিকমুক্ত আম চেনার কিছু সহজ উপায়- আমে মাছি বসলেঃ আম কিনতে গেলে একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল করবেন তা হল- আমের ওপর মাছি বসে কিনা।
আমে রাসায়নিক থাকলে মাছি বসবে না। গায়ে সাদাটে ভাবঃ গাছপাকা আম হলে দেখবেন, আমের গায়ে সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হয় ঝকঝকে সুন্দর ও পরিষ্কার। আমের গায়ে দাগঃ গাছপাকা আমের ত্বকে দাগ থাকে। রাসায়নিকে পাকানো আমের গা হয় দাগহীন।
কারণ কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়। টক-মিষ্টি গন্ধ নেইঃ আম মুখে দেয়ার পর যদি দেখেন যে, কোনো সৌরভ নেই কিংবা আমে টক-মিষ্টি কোনো স্বাদই নেই- বুঝবেন যে আমে ওষুধ দেয়া। আম বাতাসে রাখুনঃ আম কেনা হলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না।
গাছপাকা আম হলে গন্ধে মৌ মৌ করবে চারপাশ। ওষুধ দেয়া আমে এই মিষ্টি গন্ধ হবেই না। আমের রঙঃ গাছপাকা আমের গায়ের রঙও আলাদা। গোঁড়ার দিকে একটু গাঢ় রঙ। রাসায়নিক দেওয়া আমের আগাগোড়া হলদে রঙ হয়ে যায়।হিমসাগরসহ আরও বেশ কিছু জাতের আম পাকলেও সবুজ থাকে। গাছপাকা হলে এসব
আমের ত্বকে বিচ্ছিরি দাগ পড়ে। রাসায়নিক দিয়ে পাকানো হলে আমের ত্বক হয় মসৃণ ও সুন্দর। চেনা গন্ধঃ আম কেনার আগে নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুকুন। গাছপাকা আম হলে অবশ্যই বোঁটার কাছে চেনা গন্ধ পাবেন। ওষুধ দেওয়া আমে গন্ধ খুব বেশি থাকে না কিংবা বাজে বা ঝাঁজালো গন্ধ থাকে।