প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল।
আবদুল্লাহ আল মামুন, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে মন্ত্রিসভায় সংশোধিত ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও উক্ত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিশাল র্যালী করেছে।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মধুর ক্যান্টিন থেকে এই র্যালী করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি এই আইনের সঠিক প্রয়োগ ইতিবাচক মানসিকতা ও সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে সমাজ ধর্ষণমুক্ত হবে এবং যারা এই অপরাধে জড়িত হবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বাংলার মানুস অস্থির স্বচক্ষে দেখতে পাবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন নেতারা
ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে মন্ত্রিসভায় খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। পাশাপাশি ধর্ষণের শাস্তি সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবিতে সারাদেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল নেতা কর্মী যারা ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে কার ভূমিকা পালন করেছে তাদের প্রতিও আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়।
ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান এনে গতকাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে মন্ত্রিসভায়। আমরা কৃতজ্ঞ, আমরা ধন্যবাদ জানাই আমাদের যে অনুরোধ ছিল প্রাণপ্রিয় নেত্রীর কাছে, তিনি তা রেখেছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবার দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরো বলেন, ‘ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করার জন্য সবার আগে মাঠে নামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কিন্তু কিছু অসৎ নামসর্বস্ব ব্যক্তি, নামসর্বস্ব সংগঠন, ধর্ষকদের যারা সবসময় সাপোর্ট দেয়, তারা মিথ্যা বলে যে সিমপ্যাথি নেওয়ার চেষ্টা করেছে সেটা কিন্তু সবাই জেনেছে যে এই নাটকবাজদের এজেন্ডা পাকিস্তানের এজেন্ডা। সুতরাং এই পাকিস্তানিদের কোনভাবে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ দিবো না। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় পরিশ্রম করা যাবে, তার হাত ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক, যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘জনগণের আবেদনে সাড়া দিয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই গতকালের মন্ত্রিসভায় ২০০০ সালের যে নারী নির্যাতন আইন ছিল সে আইনের খসড়া সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড হিসাবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আজকের এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ’
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।