বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় আটক ৮
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় রাসেল ও সোহাগ নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর)রাতে অভিযান চালিয়ে বেগমগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি হারুন রশিদ চৌধুরী জানান, বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে আসামি রাসেল ও সোহাগকে গ্রেফতার করে।এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে সোমবার রাতে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার ৪নং আসামি সাজু ও বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত রবিবার রাতে মামলার ১নং আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে ও স্থানীয় দুর্ধর্ষ কিশোর গ্যাং লিডার এবং দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে র্যাব-১১।
আটক বাদল (২২) একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মধ্যম একলাশপুর গ্রামের মোহর আলী মুন্সিবাড়ির রহমত উল্যার ছেলে,দেলোয়ার একই গ্রামের কামাল উদ্দিন বেপারি বাড়ির সাইদুল হকের ছেলে।
এছাড়া একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিধন ভূঁইয়াবাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে মো. রহিম (২০) ও একই এলাকার মোহর আলী মুন্সিবাড়ির মৃত আবদুর রহিমের ছেলে মো. রহমত উল্যাহকে (৪১) গ্রেফতার করে পুলিশ।এদিকে নির্যাতিত ওই নারী বাদী হয়ে সোমবার রাতে ৭-৮ জন অজ্ঞাত নামাসহ ৯ জনকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি আইনে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।
এর আগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একই থানায় ওই ব্যক্তিদের আসামি করে আরেকটি মামলা করা হয়।প্রসঙ্গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকায় ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা।এর পর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারা।
এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন।সেটি ছড়িয়ে দেয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফেসবুকে।এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে রবিবার দিবাগত ১টার দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নির্যাতিত গৃহবধূ (৩৫) বাদী হয়ে মামলা করেন।