জেলার খবর

বিনা দোষে দেড় বছর কারাদণ্ড ভোগ গার্মেন্টসকর্মী তাসলিমার।

সাহাদাৎ হোসেন শাহীন, জেলা প্রতিনিধি-(নারায়ণগঞ্জ)

বিনা দোষে দেড় বছর কারাদণ্ড ভোগ গার্মেন্টসকর্মী তাসলিমার।

জীর্ণশির্ণ শরীর। একেবারেই সাদামাটা জীবন। অপরাধতো দূরের কথা, আইন, থানা, আদালত কোন কিছুই সম্বন্ধে জানতেন না তিনি। এরপরও অপহরণ আর খুনের মতো অভিযোগে গার্মেন্টসকর্মী তাসলিমাকে দেড় বছর কারাভোগ করতে হয়েছে।

মুখোমুখি হতে হয়েছে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের। গর্ভে থাকা বাচ্চা নষ্টও হয়েছে। এতসব ঘটনার যাকে ঘিরে সেই মামুন বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জীবিত ফিরে জানান, তিনি অপহরণের শিকার হননি। নিজ ইচ্ছায় বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।

আদালতপাড়ায় তাসলিমা কেঁদে কেঁদে বলেন, মিথ্যা মামলা আর ভুল তদন্তে আমি কোন অপরাধ না করেও দেড় বছর কারাভোগ করেছি। এখন কে ফিরিয়ে দিবে আমার সেই দিনগুলো ? আমার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়েছে কেউ কী পারবে সেই ক্ষতিপূরণ দিতে ?
তাসলিমা এ কথার জবাব উপস্থিত কেউ দিতে পারেননি। তবে আশপাশে থাকা কয়েকজনকে এ সময়ে চোখের পানি মুছতে দেখা যায়।

মামুন ২০১৪ সালে নিখোঁজ হলেও দুই বছর পর ফতুল্লা মডেল থানায় মামুনের বাবা আবুল কালাম অপহরণের মামলা করেন। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তাসলিমার সাথে তার ছেলে মামুনের প্রেম ছিলো। তাসলিমার ভাই তা মেনে নেয়নি। তারা মামুনকে অপহরণ করে আটকে রাখে।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিজান এক আসামীর রিমান্ড শেষে আদালতে জবাবন্দি রেকর্ড করা আবেদনে একজন স্বাক্ষির বরাত দিয়ে উল্লেখ করেন, তদন্তকালে জানা গেছে আসামীরা ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আসামীদের জামিনের আবেদনের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন আইনজীবী। ওই দিন পুলিশের মৃত সেই মামুন আদালতপাড়ায় জীবিত হাজির হলে বিষ্মিত হয় বিবাদিপক্ষ আর আইনজীবী। এরমধ্যে দিয়ে নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেয় আরেকটি জিসামনি কান্ড।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button