জেলার খবর

পাইকগাছার কপিলমুনিতে কূ-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় বিধবাকে শ্লীলতাহানি ও কুপিয়ে জখম।

এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)

পাইকগাছার কপিলমুনিতে কূ-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় বিধবাকে শ্লীলতাহানি ও কুপিয়ে জখম।

কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় পাইকগাছার কপিলমুনিতে অন্ত্যুজ জনগোষ্ঠীর এক বিধবাকে দু’দফায় তাকে ও তার ছেলেকে পিটিয়ে, কুপিয়ে আহত ও তাকে শ্লীলতাহানি ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। আহত বিধাব ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কপিলমুনির কাশিমনগর রীশি পাড়ায়। সর্বশেষ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামের মৃত বলাই দাসের মেয়ে অমেলা রাণী দাসী (৩২) বিধবা অবস্থায় দীর্ঘ দিন যাবৎ তার একমাত্র সন্তান মিঠন দাস(১৭) কে নিয়ে তার পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে তার উপর কূ-দৃষ্টি পড়ে এলাকার কতিপয় চক্রের।

বিভিন্ন সময় প্রতিবেশী অমুল্য দাসের ছেলে অধীর দাস, মৃত জ্ঞানেন্দ্র দাসের ছেলে প্রভাত দাস, কনেকের ছেলে বিষু দাস তাকে কূ-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তবে অমেলা তাদের কূ-প্রস্তাবে রাজী নাহওয়ায় বিভিন্ন সময় তারা তাদের উপর নানা উৎপীড়ন, নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।

সর্বশেষ ঘটনার দিন বৃস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে অমেলা বাড়িতে একা থাকার সুযোগে অধীর,প্রভাত, বিষুসহ অজ্ঞাতরা তার বাড়িতে গিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে টেনে-হেঁচড়ে ঘরের বাইরে এনে বিবস্ত্র করে ফেলে এবং বুকসহ শরীরের স্পর্ষকাতর স্থানে কাঁমড়ে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়। এক পর্যায়ে অধিরের ছেলে প্রকাশ, সুভাসের ছেলে শিরাফিলসহ অন্যান্যরা ঐ বাড়িতে ঢুকে অমেলাকে লোহার রড, দেশীয় লাঠি-সোটা দিয়ে পেটাতে থাকে।
এসময় তারা ধারালো দা দিয়ে তার মাথা ও হাতে কুপিয়ে জখম করে। এক পর্যায়ে তার আত্নচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তারা নানা আষ্ফালন ও হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায়। পরে তারা তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতালে ভর্তি করে।

এরআগে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে তারা পরিকল্পিতভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে অমেলার ছেলে মিঠুন দাসকে বাড়ির সন্নিকটে একা পেয়ে পিটিয়ে মারাত্নকভাবে আহত করে। খবর পেয়ে তার মা অমেলাসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বৃহস্পতিবার ছেলেকে হাসপাতালে রেখে টাকা-পয়সা, খাদ্রদ্রব্যসহ মালামাল নিতে অমেলা বাড়িতে আসলে পরিকল্পিতভাবে তারা ফের তার উপর ঐ বর্বরোচিত হামলা চালায়। প্রথম ঘটনায় স্থানীয় কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়িকে জানানো হলেও পরের ঘটনায় সর্বশেষ পাইকগাছা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এব্যাপারে স্থানীয় ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শেখ রবিউল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রথম ঘটনায় আহত মিঠুনের বিষয়টি তাকে জানালে তাকে প্রথমত হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button