জেলার খবর

হত্যা রহস্য উদঘাটন:নোয়াখালীতে বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় প্রেমিকাকে গলা কেটে হত্যা।

মোঃ ফখর উদ্দিন,নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

হত্যা রহস্য উদঘাটন:নোয়াখালীতে বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় প্রেমিকাকে গলা কেটে হত্যা।

নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্ন ইউনিয়নের করমুল্লাপুর গ্রাম থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শাহানা খাতুন (১৮) নামে এক তরুণীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই খুনিকে আটক করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ এলাকা থেকে দুই খুনিকে আটক করা হয়।

আটকৃতরা হলেন- বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ গ্রামের বাগাড়ি বাড়ির মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২৬),একই এলাকার চৌকিদার বাড়ির মো.আব্দুল মালেকের ছেলে মো. রাসেল (২৪)।নিহত শাহানা খাতুন চাঁদপুরের পুরান বাজার গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে।এ ঘটনায় পুলিশ আটকদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।পরে আদালতের বিচারক তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

সুধারাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শাহানার সঙ্গে মোবাইলে ইয়াছিন আরাফাতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এর আগে কয়েকবার শাহানা প্রেমিক ইয়াছিনের সঙ্গে দেখা করতে চাঁদপুর থেকে নোয়াখালীতে এসেছেন। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) তিনি নোয়াখালী আসেন।

নোয়াখালী আসার পর ইয়াছিনকে বিয়ের জন্য চাপ দেন শাহানা। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ইয়াছিন ও তার সহযোগী রাসেল কৌশলে শাহানাকে নোয়ান্ন ইউনিয়নের খন্দকার স’মিলের পেছনে একটি তিন তলা পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে মরদেহ বস্তায় ঢুকিয়ে নোয়ান্ন ইউনিয়নের করমুল্লাপুর গ্রামের একটি ডোবার মধ্যে ফেলে দেন।

ওসি আরও জানান, পুলিশ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডসহ দুইজনকে আটক করা হয়।মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button