জেলার খবর

চাপ বাড়ছে বেজিংয়ের, চীনকে একঘরে করতে ছক কষছে আমেরিকা

মার্কিনমুলুকে ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে করোনা। সেখানে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। টলমল বিশ্বের শক্তিধর দেশের অর্থনীতি। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মানুষ সে দেশে চাকরি হারিয়েছে। ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির মুখে মার্কিন প্রশাসন। আর এই অবস্থার জন্যে চিনই দোষী, এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা নিয়ে নতুন করে সংঘাতের রাস্তায় গিয়েছে আমেরিকা এবং বেজিং।

এই অবস্থায় করোনা ইস্যুতে চিনকে একেবারে একঘরে করতে উঠে পড়ে লেগেছে আমেরিকা। যেমনই ভাবা তেমনই কাজ! ইতিমধ্যে কূটনৈতিক স্তরে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। গোটা বিশ্বে করোনা ছড়িয়ে পড়ার জন্য চিনই যে দায়ী, তা প্রমাণ করতে আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

চীনের উহান প্রদেশ থেকেই যে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে, সেকথা সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি, ২০১৯-এর ডিসেম্বর মাস থেকেই চিন যে এই ব্যাপারে জানত সেটাই গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কাউকে কিছু জানায়নি বলে অভিযোগ ট্রাম্প প্রশাসনের। পম্পেও আরও জানিয়েছেন, দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চিনের বেশ কিছু মৌলিক দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু সেই দায়িত্ব পূরণে সম্পূর্ণ ভাবে চিন ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি আমেরিকার। কোথা থেকে এই ভাইরাস এল এবং ছড়িয়ে পড়ল, সেব্যাপারে এখন বেজিংকেই ব্যাখ্যা দিতে হবে। একই সঙ্গে হুঁশিয়ারির সুরে মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, করোনার জন্য দেশে বহু মানুষ মারা গিয়েছে। প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। যাদের জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হয়ছে, তাদের এর মাসুল গুনতেই হবে বলে হুঁশিয়ারি।

চীনের কারণে গোটা বিশ্বে এমন অবস্থা। উহান থেকেই বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ এই ভাইরাস। প্রথমদিন থেকে এই দাবি করে আসছে আমেরিকা। যদিও তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বেজিং। আমেরিকার দাবি, সব জেনে শুনেও ভাইরাসের কথা চেপে গিয়েছে বেজিং। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণের জন্য চিন সরকারের উপরই দায় চাপিয়েছেন রিপাবলিকান রাজনীতিবিদ নিকি হ্যালি। এ খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম কলকাতা২৪।

এব্যাপারে দেশের মধ্যেই চিন বিরোধী প্রচারও শুরু করেছেন তিনি। গত কয়েকদিনের মধ্যেই প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ‘স্টপ কমিউনিস্ট চায়না’ নামে ওই পিটিশনে সাক্ষর করেছেন। মোট ১০ লক্ষ সই সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন নিকি। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস অতিমারি নিয়ে চিনের কমিউনিস্ট সরকারই দায়ী। এব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসকে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button