শ্রীশ্রী শারদীয় দুর্গোৎসবে ৩ দিনের সরকারি ছুটি দাবি ও বিবিধ কারণে হিন্দু মহাজোটের মানব বন্ধন।
রনজিত কুমার পাল (বাবু) স্টাফ রিপোর্টার-ঃ
শ্রীশ্রী শারদীয় দুর্গোৎসবে ৩ দিনের সরকারি ছুটি দাবি ও বিবিধ কারণে হিন্দু মহাজোটের মানব বন্ধন।
আজ শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর-২০২০ খ্রীস্টাব্দ) সকাল ১০.৩০ টায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুর্গা পুজায় ৩ দিনের সরকারী ছুটি বাস্তবায়নের দাবী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু নির্যাতন, জমি দখল, মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর এবং নাবালিকা অপহরনের প্রতিবাদে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করে।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নির্বাহী সভাপতি দীনবন্ধু রায়, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রদীপ পাল, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় ভট্টাচার্য, মহাসচিব অ্যাডঃ গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, যুগ্ম মহাসচিব নকুল মন্ডল, সাংগঠণিক সম্পাদক সুজয় ভট্টাচার্য, হিন্দু মহিলা মহাজোটের সহ সভাপতি কাকলী নাগ, সাধারণ সম্পাদক মুক্তা বিশ্বাস, হিন্দু মহাজোটের ঢাকা মহানগর দক্ষিন এর সভাপতি ডি.কে সমির, নির্বাহী সভাপতি অখিল বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঘোষ সাংগঠণিক সম্পাদক নিপুন চন্দ্র পাল,ঢাকা জেলা হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক গোপাল পাল,হিন্দু স্বেচ্ছাসেবক মহাজোটের সভাপতি সঞ্জয় শীল, সহ সভাপতি তুলন পাল, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঘোষ, হিন্দু যুব মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি প্রদীপ শঙ্কর, প্রধান সমন্বয়কারী প্রশান্ত হালদার, হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সাজেন কৃষ্ণ বল, সাধারণ সম্পাদক সজিব সকুন্ডু তপু প্রমূখ।
মানব বন্ধনে কর্মসূটিতে বক্তারা বলেন দূর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যগণ পরিবার পরিজনের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য সারাবছর এই দিনগুলির জন্য অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দূর্গা পুজায় ৫ দিনের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও সরকারীভাবে মাত্র একদিনের ছুটি থাকে, সেটাও বিজয়া দশমীর দিন; ফলে কারো পক্ষেই পরিবার পরিজনের সাথে ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকে না। বিজয়া দশমীতে পিতা মাতা, গুরুজন ও প্রতিবেশীদের প্রণাম করা ও আর্শিবাদ গ্রহণ একটি ধর্মীয় সামাজিক রীতি। কিন্তু ১ দিন ছুটি থাকায় কারো পক্ষেই গ্রামে গিয়ে পিতা মাতা বা গুরুজনদের সান্নিধ্য লাভের সুযোগ থাকে না। ফলে পুজার দিনগুলি পিতা মাতা সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মানষিক কষ্টের মধ্যেই কাটাতে হয়। বক্তাগণ বলেন সংবিধানের মূলনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হলেও কার্যক্ষেত্রে তার কোন প্রয়োগ নেই। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় দুটি ধর্মীয় উৎসবে ৬ দিনের সরকারী ছুটি ভোগ করলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবী দুর্গা পূজায় ৩ দিনের ছুটির দাবীটি উপেক্ষিত।
বক্তাগণ আশা করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের ৩ দিনের ছুটির দাবীটি আসন্ন দুর্গা পুজার আগেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাহী আদেশে ঘোষণা করবেন। বক্তাগণ আরো বলেন করোনা দুর্যোগের শুরু থেকে দেশে ব্যপকহারে হিন্দু নির্যাতর শুরু হয়েছে, যা এখন ব্যপক আকার ধারন করেছে। সারাদেশে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাংচুর, মন্দিরে চুরি, জমি দখল, দেশত্যাগে বাধ্য করতে হামলা, জমি-বাড়ীঘর জোরপূর্বক দখল, মহানবীর বিরুদ্ধে কটুক্তির অজুহাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ব্ড়াীঘর ভাংচুর, লুঠতরাজ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার চলছে। একই সাথে আশংখাজনক হারে বেড়েছে হিন্দু কিশোরী অপহরন।
বক্তাগণ মন্দির, প্রতিমা ভাংচুর সহ সকল হিন্দু নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার, ধর্ম অবমাননার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আগামী ১৭ সেপ্টেম্বেরের মধ্যে দূর্গা পুজায় ৩ দিনের ছুটির দাবী বাস্তবায়নের ঘোষণা না হলে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বের শুক্রবার সারাদেশের সকল জেলা ও উপজেলায় মানববন্ধন করা হবে মর্মে ঘোষণা দেন।