জেলার খবর

মাদ্রাসা ছাত্রকে বেধরক পেটানো নির্যাতনকারী শিক্ষকের অপসারনসহ বিচার দাবী।

রায়পুরা প্রতিনিধি-(নরসিংদী)

মাদ্রাসা ছাত্রকে বেধরক পেটানো
নির্যাতনকারী শিক্ষকের অপসারনসহ বিচার দাবী।

নরসিংদী শহরস্থ বৌয়াকুড় মেরাজুল উলুম মাদ্রাসার এক হাফেজি পড়ুয়া ছাত্র ইব্রাহিম(১৩) এর উপর শিক্ষক কর্তৃক অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবাধ্যতা ও বেয়াদপির অজুহাতে মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ রফিকুল ইসলাম ইব্রাহিমের উপর চরম নির্যাতন করেন। যার অমানুষিক বেত্রাঘাতের চিহৃ পিঠেসহ সারা শরীরের রয়েছে।

গত ২১ আগস্ট শুক্রবার সকালে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।রায়পুরা উপজেলার হাইরমারা ইউনিয়নের বীরকান্দি গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী শফিকুল তালুকদারে ছেলে ইব্রাহিম। কোরআনে হাফেজি পড়ানোর জন্য বৌয়াকুড় মেরাজুল উলুম মাদ্রাসায় ভর্তি করেন ইব্রাহিমের মা মুরশিদা বেগম। নিরীহ ও মেধাবী ইব্রাহিম মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকেই মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ রফিকুল ইসলাম অহেতুক সন্দেহবশত: তার উপর ভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। ঘটনার দিন ঘটে চরম পরিণতি।

নির্যাতনে মাত্রা চরম আকার ধারণ করলে প্রবাসী পিতার অবর্তমানে মা মুরশিদা বেগম এর প্রতিকার চেয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষসহ এলাকাবাসীর কাছে এই নির্যাতন অত্যাচারে বিচার দাবী করে। এ সময় উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে ওঠলে তাদের শান্ত করতে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মধ্যস্থতায় ঘটনার মীমাংশার আশ্বাসে দেন এবং তাৎক্ষণিক ভাবে নির্যাতনকারী শিক্ষক হাফেজ রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

উল্লেখ থাকে যে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের নিয়ে শালিশীর মাধ্যেমে এর মিমাংশা করা হবে। কিন্তু পরক্ষণেই দেখা যায় শালিশীতে না বসেই মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী ও সেক্রেটারী শওকত আলী মুন্সী দু’জনে মিলে শালিশ ছাড়াই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক ও এলাবাসীকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে কিশোর নির্যাতনকারী শিক্ষক হাফেজ রফিকুল ইসলামকে পুন:বহালকরে। এহেন আচরনে অভিভাবক ও এলাকীবাসী ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

কেননা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীর উপর শারীরীক ও মানষিক নির্যাতন করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা ও বিধি নিষেধ রয়েছে। কিন্তু সরকারের কঠোর নিষেধাজ্ঞা উিপেক্ষা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়েও তা তারা মানেনি। শিশু ও কিশোর নির্যাতনকারী ছাত্র পেটুয়া শিক্ষক হাফেজ রফিকুল ইসলামের উপযুক্ত বিচার দাবী করেন এলাকাবাসী।

এদিকে মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী রায়পুরা উপজেলার বীরকান্দি গ্রামে গিয়ে নির্যাতিত ছাত্র ইব্রাহিমের মা অসহায় মরশিদা বেগমকে ভিন্ন ভয়ভিতি দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে আসে, যাতে করে ইব্রাহিমের মা কোন আভিযোগ ও আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য প্রিন্সিপালের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর সাথে কথা বলা যায়নি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button