কুয়েতে ধামরাইয়ের মা ও মেয়ে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন।
কুয়েতে ধামরাইয়ের মা ও মেয়ে নির্মমভাবে খুন হওয়ার ঘটনায় নিহত মা ও মেয়ের ধামরাই পৌর
এলাকায় নিজ বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে ফেলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিহতদের পরিবারের স্বজনরা।
পুলিশজানায়, পচিশ বছর আগে সংসারের অভাব গোচাতে ঢাকার ধামরাইয়ের নতুন দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান শিকদারের স্ত্রী মমতা বেগম (৫৬) কুয়েতেএকটি কোম্পানীতে চাকুরী করতে যান। পরে ওই নারী তিনি ধীরে ধীরে ওই কোম্পানীতে শক্ত অবস্থান করে নিলে মালিক পক্ষ তার কাজেকর্মে সন্তষ্ট হয়ে বেতন বাড়িয়ে দিলে তিনি তার বেতনের টাকা দিয়ে ধামরাইয়ে একটি দোতলা বাড়ি করেন।
পরে ওই নারী ওই কোম্পানীতে ভালো বেতন পাওয়ায় তার মেয়ে স্বর্ণলতাকে (৩২)তিন বছর আগে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে নিয়ে ওই কোম্পানীতে চাকুরী দেন। সেই কোম্পানীতে মা ও মেয়ে চাকুরী করে ভালোই চলতো তাদের সংসার। ওই কোম্পানী থেকে কুয়েতের হাসাবিয়া শহরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো মা ও মেয়ে।
পরে ওই কোম্পানীতে চাকুরী করা যশোরের ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয় মমতা বেগমের মেয়ে স্বর্ণলতার সাথে। পরে ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে সর্ম্পক থেকে স্বর্ণলতার সাথে রফিকুলের বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো ২৮ আগষ্ট গেল শুক্রবার। মেয়ের বিয়ের জন্য খরচ ও ধামরাইয়ে সংসারের খরচের জন্য গেল মঙ্গলবার কুয়েতের একটি ব্যাংক থেকে দশ লক্ষ টাকাউত্তোলন করেন মা মমতা বেগম।
পরে টাকা উত্তোলনের পর থেকেই মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ হন মা মমতা বেগম ও মেয়ে স্বর্ণলতা। পরে শুক্রবার মা ও মেয়ের ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে প্রতিবেশীরা কুয়েত পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজারতালা ভেঙ্গে মা ও মেয়ের ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তাদের ঘরেরআসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পায় পুলিশ। এদিকে নিহত মা ও মেয়ের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
মা ও বোনের হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন নিহতনারী মমতা বেগমের ছেলে এজাজ আহমেদ শিকদার তিনি বলেন সরকার যেন দ্রুত আমার মা বোনের লাশ বাংলাদেশে নিয়ে আসে।
কুয়েতে মা ও মেয়েকে হত্যার কথাশুনে শনিবার বিকেলে নিহতের পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে শান্তনা দেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা ।
কুয়েতে খুন হওয়া ওই নারী ও তার মেয়ের লাশ দ্রত বাংলাদেশে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছেবলে মুঠোফোনে জানিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত মেজর জেনারেল (অব,) আসিফ, তিনি আরো বলেছেন নির্মমভাবে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বিষয়টি তদন্তকরে দেখাহচ্ছে ও খুনিদের আটকের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে কুয়েত পুলিশ।