নারায়ণগঞ্জে গণধর্ষণ হওয়া মৃত কিশোরী জীবিত উদ্ধার।
সাহাদাৎ হোসেন শাহীন,জেলা প্রতিনিধি-(নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জে গণধর্ষণ হওয়া মৃত কিশোরী জীবিত উদ্ধার।
পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে তিন আসামি। এর আগে মেয়ে নিখোঁজের এক মাস পর দুইজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করে মেয়েটির বাবা। রোববার সেই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে মা-বাবা। স্কুলছাত্রীর মা জানান, বন্দরের কুশিয়ারা এলাকায় ইকবাল নামে এক যুবকের সঙ্গে দেড় মাস ছিলো জিসা মনি। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি জানিয়েছেন, ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে তবে, এর আগে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের স্বীকারোক্তির ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিল জিসা মনি (১৫) নামে ওই কিশোরী। সে দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। অনেক খোজাঁখুজির পর মেয়েকে না পেয়ে গত ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। মামলায় জাহাঙ্গীর উল্লেখ করেন, আসামি আব্দুল্লাহ তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে বাধা দিলে মেয়েকে অপহরণের হুমকি দেয়। ৪ জুলাই সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ ফোনে ঠিকানা দিলে আমার মেয়ে সেই ঠিকানায় যায়। পরে তাকে গাড়ি দিয়ে অপহরণ করে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা।
এরপর থেকেই আমার মেয়ের কোন খোঁজ নেই। মামলার পর পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির মায়ের মোবাইলের কল লিস্ট চেক করে রকিবের সন্ধান পায় পুলিশ। রকিবের মোবাইল নম্বর দিয়ে আব্দুল্লাহ জিাসার সাথে যোগাযোগ করতো। ঘটনার দিনও ওই নম্বর দিয়ে কল করে আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় রকিব, আব্দুল্লাহ ও নৌকার মাঝি খলিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।