মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরে সতর্কতা।
করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সফর না করতে মার্কিন নাগরিকদের চূড়ান্তভাবে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এ নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট লেভেল ফোর ট্রাভেল এডভাইজরি বা রেড এলার্ট জারি করেছে। সমপ্রতি বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার আরো তিনটি রাষ্ট্র আফগানিস্তান, ভারত ও ভুটানে মার্কিন নাগরিকদের জন্য অভিন্ন মাত্রা বা লেভেলের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা (লাল সতর্কতা বা লেভেল ফোর ট্র্যাভেল এডভাইজারি) জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে সর্বশেষ গত ৬ই আগস্ট ভ্রমণ সতর্কতা হালনাগাদ করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ছাড়াও ক্রাইম রেট, সন্ত্রাসের ঝুঁকি, দেশগুলো বিভিন্ন গোষ্ঠীর বা দলের অভ্যন্তরীণ বা উপদলীয় কোন্দল এবং বিদেশিদের অপহরণের আশঙ্কার বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে পেটি ক্রাইম, সন্ত্রাসবাদ এবং অপহরণের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় এসেছে এবং সতর্কতার মাত্রা বা লেভেলে পরিবর্তন অর্থাৎ উচ্চ সতর্কতা অবলম্বনে নাগরিকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে স্টেট ডিপার্টমেন্টের নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে একটি বিষয় এবারও স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র যে, বাংলাদেশের ক্রাইম রেট পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়েছে দেশটিতে যাই ঘটুক না কেন তাতে বিদেশিদের আক্রান্ত বা আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার হার খুবই কম।
তাছাড়া কোনো বিশেষ দেশের নাগরিককে টার্গেট করে বাংলাদেশে কোনো ঘটনা বা অপরাধ সংঘটিত হয় না।
বড় শহরগুলোতে পেটি ক্রাইম অর্থাৎ ছিনতাই,লুট, অপদস্ত করা বা ড্রাগ ট্রাফিকিংয়ের ঘটনা ঘটে, তাও স্থান এবং সময় বিবেচনায় ঝটিকা বা আচমকা ঘটনাগুলো ঘটে যায়। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ঘটনাগুলোও আচমকাই ঘটে।
সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বাংলাদেশ সফর করতে পারেন এমন মার্কিন নাগরিকদের উচ্চ মাত্রার সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
অন্য একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ‘ডোন্ট ট্রাভেল টু বাংলাদেশ ডিউ টু কোভিড-১৯ এবং এক্সারসাইজ ইনক্রিজড কশন ইন বাংলাদেশ ডিউ টু ক্রাইম, টেররিজম অ্যান্ড কিডন্যাপিং’- শীর্ষক মেইলও পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কোনো কোনো মার্কিন নাগরিক।