জেলার খবর

ঈদের ছুটিতেও ইয়াবার ট্রানজিট পয়েন্ট চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে বেচেনিয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।

অনলাইন ডেস্ক-ঃ

ঈদের ছুটিতেও ইয়াবার ট্রানজিট পয়েন্ট চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে বেচেনিয়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।

ঈদ উদযাপনে প্রশাসনের শিথিলতাকে কাজে লাগিয়ে কক্সবাজার থেকে বানের পানির মতো আসে ইয়াবার বড় বড় চালান। এ সময় অভিন্ন কায়দায় ইয়াবা পাচারের সময় বেশ কয়েকটি চালান আটকও করেছে প্রশাসন।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ঈদের ছুটিতে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি মাদকের চালান আটক করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

গ্রেফতার-পরবর্তী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক ব্যবসায়ীরা জানান, তাদের ধারণা ছিল ঈদে প্রশাসনের তৎপরতা কিছুটা শিথিল থাকবে। এ সুযোগে মাদক ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক পাচার করবে।

এ কৌশলে ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে কয়েকটি চালান আটক করা হয়েছে। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ঈদের ছুটিতে ইয়াবা পাচার বাড়তে পারে এ ধারণা থেকে প্রত্যেক থানা পুলিশকে সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেশ কয়েকটি চালান আটক করা হয়।

জানা যায়, ঈদ উদযাপনের কারণে প্রশাসনের শিথিলতাকে কাজে লাগাতে মাদক ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার থেকে নিয়ে আসে ইয়াবার বড় বড় চালান। ব্যক্তিগত গাড়ি, মিনি ট্রাক, গণপরিবহন অভিনব কায়দায় আনে ইয়াবার চালান।

মাদক পাচারের নতুন কৌশল ফিশিং বা ‘ফ্রিজিং ক্যারিং ও স্টোমার্ক ক্যারিং’ করে পাচারের সময়ও কয়েকটি চালান আটক করা হয়। ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম জেলা ও নগরীতে পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ৫০টি চালান আটক করা হয়েছে।

জব্দ হওয়া এসব ইয়াবার চালান কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছিল। যার মধ্যে বেশির ভাগ চালানই আটক করা হয় দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে। ঈদের ছুটিতে ছোট-বড় ৭টি ইয়াবার চালান আটক করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। ওই থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, কোনো উৎসবের আগে-পরে মাদকের চাহিদা বাড়ে। তাই কোরবানির ঈদের ছুটিতে ইয়াবা পাচার বেড়েছে।

গ্রেফতার হওয়া মাদক ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তাদের ধারণা ছিল ঈদের ছুটিতে প্রশাসনের কঠোরতা শিথিল থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে ইয়াবা পাচার বৃদ্ধি করেছে তারা।

চট্টগ্রাম মেট্রো মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি জব্দ করা ইয়াবার চালানের বেশির ভাগই এসেছে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে

এসব চালানে প্রায়ই ব্যবহার করা হচ্ছে নারী কিংবা রোহিঙ্গা নাগরিকদের। পাচারের সময় তারা ব্যবহার করছে কাট আউট পদ্ধতি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button