খুলনার পাইকগাছায় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় প্রতিবন্ধী ছেলেকে ফিরে পেলো পিতা-মাতা।
এ কে আজাদ, পাইকগাছা, খুলনা প্রতিনিধি-ঃ
পাইকগাছার ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় প্রতিবন্ধী ছেলেকে ফিরে পেলো পিতা-মাতা
“মানুষ মানুষের জন্য ” তার প্রমান রাখলেন লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন। দীর্ঘ আড়াই মাস পর খুলনার পাইকগাছার এক প্রতিবন্ধী কিশোরকে ফিরে পেলেন পিতামাতা। ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিনের সহযোগিতায় রবিবার সকালে হারিয়ে যাওয়া প্রতিবন্ধী ছেলেকে ফিরে পেলো পিতা-মাতা।
এদিকে চেয়ারম্যান তুহিন প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধিদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যা পাইকগাছায় একটা ব্যতিক্রম কর্মকান্ডও বটে।এবিষয়ে এক পর্যয়ে তিনি বললেন এমন কাজ করে তিনি যেমন আনন্দ পান তেমনি তার দায়িত্ববোধ হিসেবে চলিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।
জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিং-এর কতোয়ালী থানার আলকাজ মিয়ার প্রতিবন্ধী ছেলে আরিফ আহম্মেদ হারিয়ে যায়। সেই থেকে আরিফ খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লক্ষ্মীখোলার বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে বেড়াতে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান কে,এম, আরিফুজ্জামান তুহিনের দৃষ্টিগোচর হলে ছেলেটিকে তার পরিষদে ডেকে নিয়ে যান তিনি। প্রতিবন্ধী ছেলেটিকে তার অঙ্গভঙ্গীমার মাধ্যমে বিস্তারিত পরিচয় জানার চেষ্টা করেন চেয়ারম্যান। শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী আরিফ কোন মতে তার পিতা ও জেলার নাম বলতে পারে। পিতা-মাতার সাথে যোগাযোগের আগ পর্যন্ত দীর্ঘ এ আড়াই মাস যাবৎ সে চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধায়নে তার বাড়ীতে ছিল। আলোর দিশারী নামে একটি ফেইসবুক আইডিতে কয়েকটি মোবাইল নম্বর দিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
এরপর বুধবার ময়মনসিং-এ তার পিতা ছেলের ছবি দেখে চিনতে পারেন। এ সময় মোবাইলের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেন তারা। এর পুর্বে তিনি পঙ্গুদের হুইল চেয়ার, লাঠি, শ্রমপ্রতিবন্ধি বা বধিরদের ইয়ারফোনও প্রদান করেন। বুধবার ইউপি কার্যালয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরের পিতামাতা উপস্থিত হলে এক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মমত্ববোধ ও দ্বায়িত্ববোধ নিয়ে আবেগাপ্লুত হন উপস্থিত মানুষ। চেয়ারম্যানের দীর্ঘায়ু কামনা করেন হারিয়ে যাওয়া প্রতিবন্ধী কিশোরের বাবা মা। এ ঘটনা এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, দ্বায়িত্ববোধ নৈতিকতা নিয়ে কাজ করছি। এ সময় তিনি সকলের নিকট দোয়া চান। প্রতিবন্ধী ছেলেকে পেয়ে অনেক খুশি পিতামাতা।