নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার সরওয়ার কামালের সাথে কানুনগো শ্রীমান ভট্টর নিজ এলাকায় চাকুরীর অবৈধ প্রভাব খাটানো নিয়ে দ্বন্ধের জের ধরে শত শত জমা খারিজ নথি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষ রেজিষ্ট্রি সহ নানা রকম হয়রানি শিকার হওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সহকারী ভূমি কমিশনার অফিস সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সরওয়ার কামালের সাথে কানুনগো শ্রীমান ভট্ট ভিপি নথিতে অনুমোদনের জন্য নিজ এলাকার অবৈধ প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে আসছে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দ্বন্ধ বিরাজমান ছিল। এতে ভিপি নথি ছাড়াও অন্যান্য জমাখারিজ খতিয়ান অনুমোদন না করে সহকারী কমিশনার হঠাৎ বদলীর আদেশ পেয়ে কক্সবাজার চলে যান। এতে খতিয়ান খোলার জন্য আবেদনকারীরা ঈদ-উল আযহা এবং জটিল-কঠিন রোগীরা জমি বিক্রি করতে খতিয়ান পেতে বিলম্ব হওয়ায় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্খা দেখা দিয়েছে। এর জন্য কানুনগো একাই দায়ী বলে ঐ অফিসের কয়েকজন সহকারী জানান।
কয়েকজন ভোক্তভোগী জানায়, কানুনগো শ্রীমান ভট্টর বাড়ী উপজেলার জিরতলী ইউনিয়নে হওয়ায় এবং সরকারী দলের লোক ও স্থানীয় অপরাপর আত্মীয় স্বজনের ভয় দেখিয়ে নিরীহ মানুষসহ সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের অনেক সহকারীকে লাঞ্চিত করে আসছে। তিনি ইতিপূর্বে সেনবাগে চাকুরী করা অবস্থায় সকলের সাথে একই আচরণ করতো। তাই উক্ত কানুনগোর অবৈধ হস্তক্ষেপ রোধ করা না গেলে নতুন সহকারী কমিশনার এবং নিরীহ জনগণসহ ঐ অফিসের সহকারীরা ভোগান্তি সইতে হবে বলে অনেকেই অভিমত দেন।
এ ব্যাপারে কানুনগো শ্রীমান ভট্ট বলেন, তিনি নিজ এলাকার লোক হিসাবে কখনো অবৈধ প্রভাব না খাটিয়ে সততার সহিত কাজ করে আসছে। অফিসের কতিপয় কুচক্রী সহকারীরা তাকে তাড়ানোর জন্য নানা মুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।