কপিলমুনি থেকে চোরাই গরু উদ্ধার; সর্বত্র আতংক, তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি এলাকাবাসীর।
এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
কপিলমুনি থেকে চোরাই গরু উদ্ধার; সর্বত্র আতংক, তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি এলাকাবাসীর।
ঈদকে সামনে রেখে বুধবার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি নগরশ্রীরামপুর থেকে অরক্ষিত অবস্থায় মালিক বিহীন একটি কালো গরু উদ্ধার করছে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে হরিঢালী পুলিশ ক্যাম্পে গরুটি হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
জানাগেছে, গরুটি চোর সিন্ডিকেটের কোন এক সদস্য লোক চক্ষুর আড়াল করে স্থানীয় হরিদাসকাটি গ্রমের পাশদিয়ে এনে শ্রীরামপুর গ্রামের নির্জন একটি বাঁশ ঝাড়ে বেঁধে রেখে সিটকে পড়ে। ধারনা করা হচ্ছে পরদিন কপিলমুনি হাটের দিন থাকায় গরুটি কসাইদের মাধ্যমে বিক্রি করা হতে পারে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন কয়েক ব্যাক্তির নাম প্রচার হচ্ছে। যা পুলিশ তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে মুল হোতাদের নাম বলে ধারনা এলাকাবাসীর। ঘটনার পর গোটা এলাকাজুড়ে আতংক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হরিদাশকাটি গ্রামের জনৈক এমদাদের বাড়িতে গরুটি বাঁধা অবস্থায় অনেকে দেখেছেন। পুলিশের তদন্তেই চোর সিন্ডিকেটের তৎপরতা ও প্রকৃত দোষীদের নাম প্রকাশ্যে আসতে পারে। বিশেষ করে উপজেলার কপিলমুনি হরিঢালী সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় এ সিন্ডিকেট তৎপর রয়েছে বলে একাধিক সুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে হরিঢালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই মনিরুজ্জামান হাজরা জানান, গরুটি ক্যাম্পে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। প্রকৃত মালিক খুঁজে তার কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘটনায় জড়িত চোরদের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, তদন্ত চলছে। প্রকৃত চোরকে আমরা ধরার চেষ্টা করছি।
জানাগেছে, ঈদ উপলক্ষে এলাকার অনেক মানুষ গরু পালন করেন। অনেক দুঃস্থ্য ও অসহায় মানুষ তাদের পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরাতে গরু ও ছাগল পালন করেন। এমতাবস্থায় অনেকে আশা নিয়ে শেষ সম্বল হিসাবে গরুটি পালন করতে পারেন বলে ধারনা এলাকাবাসীর। যে গরুটি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে পড়বে চোর সিন্ডিকেটের সাথে জড়িতদের নাম। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আতংকিত এলাকাবাসী।