বন্দরে বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদ জুমার নামাজ চলাকালে সন্ত্রাসী হামলা আহত২
সাহাদাৎ হোসেন শাহীন, জেলা প্রতিনিধি-(নারায়ণগঞ্জ)
বন্দরে বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদ জুমার নামাজ চলাকালে সন্ত্রাসী হামলা আহত২
বন্দরের দক্ষিন চানপুর বাইতুল জান্নাত জামের মসজিদের বর্তমান কমিটির উন্নয়ন কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে গতকাল জুমার নামাজ চলাকালে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে বন্দর উপজেলাধীন মদনপুর ইউনিয়নস্থ দক্ষিন চানপুর এলাকায় এঘটনাটি ঘটে। ঐদিন জুম্মার নামাজের খুতবা চলাকালে কথিত প্রভাবশালী শহীদ, আক্তার, আবুল কালাম,ইকবাল ও মামুন গং দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মসজিদের উপস্থিত ইমামের মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়। ঘটনার প্রতিবাদ করলে মুসল্লীদের উপর চড়াও হয় উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা। এতে ঘটনাস্থলেই ২জন মুসল্লী আহত হন।
এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার খলিল আহমেদ জানান,২০১৫ সাল নাগাদ স্থানীয় কথিত প্রভাবশালী সুরুজ মিয়ার ছেলে মোঃ শামিম উল্লেখ্যিত মসজিদের কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সত্তর মিয়া। সেসময় তাদের ব্যাপক অনিয়ম ও অবহেলায় মসজিদের উন্নয়ন কাজ ঝিমিয়ে পরে। তাদের এহেন কর্মকান্ডের উন্নতি না দেখে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুসে উঠে।নেমে আসে রাজপথে। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে তারা ঐঈ কমিটির পতন ঘটায়। পরে এলাকাবাসীর সমর্থনে ২০১৯ সালে রমজান আলী-ইসহাকের নেতৃত্বে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এই প্যানেল দায়িত্বে আসায় অল্প দিনেই মসজিদের প্রথম ও ২য় তলার ছাদ নির্মানসহ মসজিদের ব্যাপক উন্নয়ন করে আসছে। এদিকে নতুম কমিটি ঘটন হওয়ার পর থেকেই সুরুজ বাহিনীর ইন্ধনে বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীকে নানা হুমকী ধামকির স্বীকার হতে হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কমিটির কর্তৃত্ব অর্জনের চেষ্টায় তারা মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে ইমাম সাহেবের মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতে থাকে। পরে মুসল্লীরা প্রতিবাদ করতেই তারা এহেন কর্মকান্ড ঘটায়।
খবর পেয়ে ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এব্যাপারে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তথ্যে তা জানা যায়।